অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
গতবার কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেললেও, মাঝপথেই তাদের ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। নিজের সন্তানকে স্বাগত জানানোর জন্য এবং স্ত্রীয়ের পাশে থাকার জন্যই সেই সিদ্ধান্ত ছিল তাঁর। এবারের আইপিএলেও তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর সেই খবরেই আপ্লুত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক। সেবার মাঝপথে দলকে ছেড়ে যেতে হয়েছিল। কিছু কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল তাঁর। সেই বাকি থাকা দায়িত্ব পূরণ করতে হবে এবার, কেকেআর শিবিরে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাওয়ার পর এটাই প্রথম মনে হয়েছিল কামিন্সের।
এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স শুরুটা ভাল করলেও, মাঝপথেই তাদের ছন্দপতন হয়েছে। যদিও শেষম্যাচ জেতার পর এখনও প্লে অফে যাওয়ার একটা সূক্ষ সুযোগ রয়েছে তাদের। যদিও কাজটা যথেষ্ট কঠিন। তবুও নাইট তারকারা এখনও আশাবাদী। এমন পরিস্থিতিতেই কলকাতা নাইট রাইডার্সে দ্বিতীয়বার ফেরার অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্যাট কামিন্স। ২০২০ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে রেকর্ড দামে এসেছিলেন প্যাট কামিন্স। তাঁকে ১৫.৫ কোটে টাকায় সেইবার কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়েছিল। কিন্তু পরের মরশুমে সেই নাইট রাইডার্সের হয়েই পুরো প্রতিযোগিতা খেলতে পারেননি তিনি। দেশে ফিরে গেলেও, একটা খারাপ লাগা নাকি সবসময়ই ছিল তাঁর মধ্যে। এবারের মেগা নিলামে যখন ফের তাঁর নাইট রাইডার্স নেয়, সেই সময়ই তাঁর মনে হয়েছিল যে বাকি রাখা কাজ পূ্র্ণ করার ফের একটা সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এবারের আইপিএলে তাঁকে ৭.২৫ কোটি টাকায় নিয়েছে কেকেআর। আর নাইট রাইডার্স তাঁর ওপর দ্বিতীয়বার ভরসা রাখাতে আপ্লুত হয়েছিলেন প্যাট কামিন্স।
তিনি জানিয়েছেন, “যখন কেকেআর ফের আমায় দলে নেয় আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। আইপিএলে এটা আমার পঞ্চম মরশুম। নাইট রাইডার্স যখন আমায় নিয়েছিল, সেই সময় আমার মনে হয়েছিল কিছু দায়িত্ব পালন এখনও আমার বাকি রয়েছে। কারণ গত মরশুমের মাঝপথেই আমায় নাইট রাইডার্স শিবির ছেড়ে ফিরে যেতে হয়েছিল। আবার সেই দলে ফিরতে পেরে আমি খুশি। বিশেষ কিছু বদল হয়নি এখানে। কোচিং স্টাফ থেকে সাপোর্ট স্টাফ সকলে একই রয়েছেন”।