অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
মোহনবাগানের নামের আগে থেকে এটিকে সরানোর দাবিতে বহুদিন ধরেই গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের সমর্থকরা সরব। সমর্থকদের আবেগ বুঝতে পেরেই কুনাল ঘোষ ক্লাবের সহ সভাপতি হয়ে সেই আওয়াজ তোলেন, সেই বক্তব্য সমর্থনও করেন ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত। এবার এটিকে – কে সরাতে নতুন কৌশল নিচ্ছেন বাগান কর্তারা। তারা এটিকে কর্ণধার তথা ইনভেস্টর সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ক্লাবের সভাপতি করবেন, যেহেতু এখনও বাগান ক্লাব সভাপতিহীন। সূত্রের খবর, সঞ্জীবকে প্রথমে এটিকে সরানোর কথা বললে তিনি রাজি হননি। কিন্তু মোহনবাগান সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিতেই তিনি আর না করেননি। ফলে বার পুজোর পরেই চলতি মাসে মোহনবাগান ক্লাবের কার্যকরী কমিটির বৈঠক, সেখানেই সভাপতি করা হবে গোয়েঙ্কাকে। এরপরেই মোহনবাগানের আগে গোয়েঙ্কার কোম্পানি বা অন্য কিছু নাম দিয়ে এটিকে সরানো হবে। শোনা যাচ্ছে এই বিষয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে ক্লাবের নতুন তাঁবু উদ্বোধন করার প্রস্তাব গত সপ্তাহে গিয়ে নবান্নতে দিয়ে আসেন দেবাশিস দত্ত ও কুনাল ঘোষ। সেখানে তারা এটিকে সরানোর জন্য মমতাকে হস্তক্ষেপ করতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলে রফাতে আসেন। এরপরেই গোয়েঙ্কার মোহনবাগান সভাপতি হওয়া মজবুত হয়।
কার্যকরী কমিটির প্রত্যেকেই গোয়েঙ্কার মত সভাপতি চান, যাদের সেই অর্থে ক্লাবের সঙ্গে ঘনিষ্টতা নেই। এবং ক্লাবকে দরকারে অর্থ দিয়েও সাহায্য করতে পারবেন। আর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও মোহনবাগানের মত প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকতে চান। আর তিনি কুড়ি বছরের উপর ক্লাবের মেম্বার। ফলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি সভাপতি হতে পারবেন। আর মোহনবাগান সভাপতির সমাজের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হয়, আর গোয়েঙ্কা ভারতের শিল্পসমাজে একজন বড়ো ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আপাতত মোহনবাগানে চার জন সহ-সভাপতিকে বেছে নিয়েছেন কর্মসমিতির সদস্যরা। ৬ সহ-সভাপতির মধ্যে আপাতত যে চারজনকে বেছে নেওয়া হল তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী ও মন্ত্রী। এঁরা হলেন অরূপ রায়, মলয় ঘটক ও কুনাল ঘোষ। চতুর্থ জন হলেন অসিত চট্টোপাধ্যায় । বাকি দুই সহসভাপতির নাম শীঘ্রই জানানো হবে। মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছিলেন ”মোহনবাগান সভাপতির পদটা এতটাই বড় যে, এই পদে বসতে গেলে সমাজের সব স্তরে গ্রহণযোগ্যতা থাকাটা খুব জরুরি। আমরা পরের কর্মসমিতির বৈঠকে বসার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই সভাপতির নাম ঘোষণা করে দেব।”