এনএফবি, মালদাঃ
দীর্ঘ প্রায় দু’ দশক ধরে বেহাল রাস্তা, এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। পঞ্চায়েত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে মেলেনি সুরাহা, এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীদের দায়িত্বে পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান, যার দরুন ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের।
জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণ পূর,ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা বেহাল।স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদহের এই গ্রাম গুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানা খন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা।পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা।গ্রামের মূল প্রবেশ পথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে।যানবাহন তো বটেই বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছু দিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার দরুন গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আজ সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা।
কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিংগল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমান বিহারী বসাকের।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের ছুড়ে ফেলবে।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।