বিনোদনলেটেস্ট

থ্রিলার ওয়েব সিরিজে দেবলীনা যুধাজিত, পুলিশ চরিত্রে রাজেশ

এনএফবি, এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্কঃ

প্রথমবার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথেই নিখোঁজ বৌ। তা ঘিরে ঘটনার ঘনঘটা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে জন হালদার প্রযোজিত ও পরিচালিত থ্রিলার ওয়েব সিরিজ ‘এনএইচসিক্স’।সম্প্রতি সামনে এলো ওয়েব সিরিজটির মুখ্য চরিত্রের পোস্টার।

YouTube player

প্রকাশিত পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, সন্দিহান নজরে এক পুলিশের চরিত্রে রাজেশ শর্মা, হাইওয়েতে বিচলিত দম্পতি – দেবলীনা দত্ত ও যুধাজিত সরকার। রয়েছে চিমটি লেখা একটি মাইলফলক, সুদূরে পাহাড় জঙ্গলের ধারে একটি পেট্রোল পাম্প। কোন বিপদের হাতছানি লুকিয়ে আছে এই রহস্যময় হাইওয়ে তে?

গল্পটি একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ববকে নিয়ে। বব ও তার স্ত্রী নিমিশা একদিন সকালে গাড়ি নিয়ে নিমিশার বাপের বাড়ির অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। গল্পের সূত্রে জানা যায় যে বব প্রথমবার তার শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে।

তাদের এই যাত্রা পথে, সমস্যা শুরু হয় যখন নির্জন হাইওয়ের রাস্তায় হঠাৎ তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। অগত্যা বব ফোন করে একটি tow truck কে তলব করে। ইতিমধ্যে তাদের সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সেই পথেই চলা একজন ব্যক্তি। তাকেই বব বাধ্য হয়ে বিশ্বাস করে অনুরোধ করেন, যে তার স্ত্রী অস্বস্তি বোধ করছেন, যদি নিকটবর্তী কোনো পেট্রোল পাম্পে তার স্ত্রী নিমিশাকে তিনি নিয়ে যেতে পারেন ওয়াশরুম ব্যাবহার করার জন্যে। আগন্তুক ব্যক্তির গাড়িতে চেপে পেট্রোল পাম্পের অভিমুখে রওনা হয় নিমিশা।

রহস্যজনক ভাবে এরপর থেকে নিখোঁজ নিমিশা। উদ্ভ্রান্ত হয়ে বব পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু তারাও প্রাথমিকস্তরে ববকে অবিশ্বাস করে। কারণ ববের কাছে প্রমাণস্বরূপ কিছুই ছিল না যে নিমিশা তারই সাথে সেই যাত্রায় বেরিয়েছিলো। তার স্ত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেলে সেও জানায় যে ববের সাথে কোন মহিলাকে সে দেখেনি। এমনকি তদন্তের জন্যে তার শ্বশুর বাড়িতে পুলিশ গেলে তার শাশুড়িও অস্বীকার করে তাকে চিনতে। টেনশন বাড়তে থাকে। কিন্তু নিমিশার কোন হদিশ না পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় যে আসলে নিমিশা বলে আদৌ কেউ ছিল কি না। তদন্ত চলাকালীন তাদের মনে হতে লাগে যে, পুরো ঘটনাটি মিথ্যে সাজিয়ে তুলে ধরেছে বব।

কাহিনীর প্রেক্ষাপটে রহস্য আরও ঘনীভূত হয় ঠিক তখনই যখন এই সব সমস্যায় জর্জরিত ববের কাছে জনৈক কিডন্যাপারের ফোন আসে, এবং সে বড়সড় মুক্তিপণ দাবী করে জানায় যে, নিমিশাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। পরতে পরতে রহস্যের কুয়াশা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

পুলিশ এবং বব তৎপর হয় নিমিশাকে উদ্ধার করতে।কিন্তু রুদ্ধশ্বাসে কাহিনী অগ্রসর হতে আমরা ক্রমান্বয়ে জানতে পারি, যে এই পুরো ঘটনার পেছনে এক কুচক্রী মাথা আছে।

কে সেই মাস্টারমাইন্ড যে এই পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছে? বিশ্বাস, অন্তর্ঘাত আর প্রতিঘাতের কোন অদ্ভুত প্যাঁচের ওপরে প্যাঁচে, গল্পের শেষে পুরো রোমহর্ষক ঘটনাটির পর্দা ফাঁস হবে? এই মাসের শেষে KLIKK OTT প্ল্যাটফর্মে আসছে এই ওয়েব সিরিজটি।