অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
অনেক আশা করে চলতি আই এস এলে ম্যানুয়াল দিয়াজকে কোচ করে এনেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। গত মরশুমের লিভারপুল লেজেন্ড রবি ফাওলারের পরিবর্তে দিয়াজের আগমনে স্বপ্ন দেখা শুরু। গত মরশুমের পারফর্মেন্সের থেকেও জঘন্য পারফর্ম করে দল। টানা ৮ ম্যাচ জয়হীন থাকে। বাধ্য হয়েই তাঁকে সরিয়ে দেয় লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। প্রথম ডার্বিতে ০-৩ ব্যবধানে এটিকে মোহনবাগানের কাছে হেরেছিল ম্যানুয়েল দিয়াজের এসসি ইস্টবেঙ্গল। এটিকে মোহনবাগানের সামনে ফিরতি শনিবারের ডার্বিতে ফের একবার হার হজম করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দেখা যাক কী হয়! তবে পেশাদারিত্বে এটিকে মোহনবাগান অনেক এগিয়ে। মনে হয় না ইস্টবেঙ্গল জিততে পারবে!” এরপরেই দিয়াজ একরাশ অভিযোগ এনে এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টকে তুলোধোনা করেন।তার কথায়,”আমি এই দলের কোনও খেলোয়াড়কে সই করায়নি। আমি কেবল দুজনের নাম সুপারিশ করেছিলাম, এক ড্যারেন সিডোয়েল, আরেকজন হলেন আন্তোনিও পেরোসেভিচ। এই দলটির সেই গভীরতা নেই আইএসএলের মত শীর্ষস্থানীয় লিগে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত। দলটা খুব খারাপভাবে তৈরি হয়েছে। তার উপর, ছয়জন এমন বিদেশিকে বাছা হয়েছে যাদের আইএসএলের অভিজ্ঞতাই নেই। আমার হয়তো এই কাজে আসার আগে রবি ফাউলারের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিৎ ছিল। এটা লজ্জার যে ইস্টবেঙ্গলের মত ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা দলের দায়িত্বে রাখা হয়েছে শ্রেণিক শেঠ, তাঁর পুত্র এবং কর্নেলকে (শিবাজী সম্মাদ্দার)। ফুটবলাররাও তো ওদের চায় না। বহু ফুটবলার আমাকে ওদের বিষয়ে জানিয়েছেন। শ্রেণিক বাজে ম্যানেজার তো বটেই, পেশাদারিত্বের দিক থেকেও চূড়ান্ত খারাপ। বিনিয়োগকারী সংস্থার উচিৎ নয় এরকম খারাপ ম্যানেজারদের হাতে পুরো দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ আমূল বদলাতে হবে।” তিনি জানান, তিনি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আবেগকে সম্মান করেন। কিন্তু এই ম্যানেজমেন্ট থাকলে আর লাল হলুদে থাকবেন না। আইএসএলে নিজেদের ১২ তম ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। নয়া হেড কোচ মারিও রিভেরোর সৌজন্যে। এফসি গোয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই জয়ের ফলেই আইএসএল এর লাস্ট বয়ের তকমা কিছুক্ষণের জন্য সরে গিয়েছিল। পরের ম্যাচেই হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ০-৪ গোলের ব্যবধানে হেরে আবারও লাস্ট বয় এসসি ইস্টবেঙ্গল।