পুনর্ভবাকে বাঁচাতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী

এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এমনিতেই রাজ্যের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জেলা। জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা। দুটি নদীই তাদের উৎস্যস্থল থেকে বেড়িয়ে এসে বাংলাদেশের দিনাজপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের গঙ্গারামপুরের উপর দিয়ে পুনর্ভবা ও আত্রেয়ী কুমারগঞ্জ এবং বালুরঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে ফের বাংলাদেশের ভেতরে গিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

মুলত কৃষিভিত্তিক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি মৎস্যচাষিদের জীবনধারনের জন্য জেলার এই দুটি নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মেনে থাকে জেলার বাসিন্দারা।

যদিও অনেক বছর আগেই বাংলাদেশের দিনাজপুরের মোহনপুরে আত্রেয়ী নদীর উপর রাবার বাঁধ নির্মাণ করে জল ধরে রেখে ভারতীয় ভুখন্ডে প্রবাহিত হওয়া আত্রেয়ী নদীর নব্যতা কমে যাওয়ার দরুণ ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ এলাকার কৃষিজীবি থেকে মৎস্যজীবিদের। এই নিয়ে আত্রেয়ী বাচাঁও কমিটি এর আগে থেকে জোর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও পরবর্তীতে দুই দেশের সরকারের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনাতেও হাল ফেরেনি আত্রেয়ী নদীর। যার জেরে যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যা থেকেই গেছে। বাধ্য হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে সমস্যা সমাধানের জন্য বর্ষার সময় আত্রেয়ীর জল ধরে রাখার জন্য বালুরঘাটে একটি বাঁধ নির্মানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার কাজ শুরু হয়েছে।

কিন্তু নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী পুনর্ভবা কে নিয়ে। বাংলাদেশ সরকার রংপুরের বিরলে পুনর্ভবা নদীর উপর সেই আত্রেয়ী নদীকে ধ্বংস করে দেওয়ার মত রাবার বাঁধ নির্মাণ করছে। যার ফলে পুনর্ভবার মত জেলার গুরুত্বপূর্ণ নদী তার নিজের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলায় ফের কৃষি ও মৎস্য চাষ নির্ভর জেলার হাল দিনকে দিন বেহাল হয়ে পড়ছে।

সেদিকে তাকিয়েই আত্রেয়ী বাঁচাও কমিটি এবার জেলার অন্য গুরুত্বপূর্ণ নদী পুনর্ভবাকে বাঁচাতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে। তাঁদের তরফে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,দেশের প্রধানমন্ত্রীর এব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি যাতে ওই বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করা বা সরিয়ে ফেলা যায়। তার জন্য তারা এক লক্ষ সই সংগ্রহ করে তাঁদের কাছে পাঠানোর কাজে নেমে জনগণের সাধুবাদ অর্জন করেছে। এখন দেখার এই দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে পুনর্ভবা তার পুরনো নব্যতা ফিরে পায় কিনা! না আত্রেয়ীর মত সর্বনাশের পথে পা বাড়ায়।