অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
চার বছর আগে শেষবার ভারতীয় দলে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর থেকে আর সুযোগ মেলেনি। কিন্তু এখনও ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন দীনেশ কার্তিক। আর সেজন্যই প্রতিদিন নিজেকে প্রস্তুত করে চলেছেন ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। আসন্ন টি টোয়োন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে চান তিনি। আর ফিনিশারের ভূমিকাই পালন করতে চান এই তারকা উইকেট কিপার ব্যাটার। তবে ভারতীয় দলে তাঁর ফেরা বা না ফেরাটা একেবারেই নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। কার্তিক জানান, “আমার লক্ষ্য হল ফের দেশের জার্সিতে খেলার। বিশেষ করে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটেই খেলতে চাই আমি। টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে খেলার মজাটাই আলাদা। আর সেজন্যই এখনও তামিলনাড়ুর হয়ে আমি সৈয়দ মুস্তাক আলি, বিজয় হাজারে ট্রফি খেলে চলেছি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে নিজেকে যুক্ত রেখেছি। রাজ্য দলের হয়ে যে ধরণের সাফল্য আমরা পেয়েছি, তা অসাধারণ। এবং আমি এই সফরের অংশ হওয়ার পুরো বিষয়টা বেশ অনুভব করেছি। আমার আসল উদ্দেশ্য হল জাতীয় দলের জার্সিতে আবার খেলা। বিশেষ করে টি-২০ ফর্ম্যাটে। ওই ফর্ম্যাটে খেলার জন্য আমি এখনও আগুনের মতো জ্বলছি।” দীনেশ কার্তিক জানান, “শেষ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিনিশারের অভাব ছিল ভারতীয় দলে। আর আমি সেই ভূমিকাটাই পালন করতে চাই। শেষ কয়েক মরসুমে লিমিটেড ওভারে আমি ভালই পারফরম্যান্স করেছি। আর সেই জায়গাতেই ফিরতে চাইছি এখন।” এছাড়া নিজের তামিলনাড়ু দলের ক্রিকেটার শাহরুখ খান, গত আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস দলের হয়ে নজরকারা পারফরম্যান্স করেন। তাকে নিয়ে ডিকে জানান,”আমার মনে হয় জাতীয় দলের জন্য ওর দিকে নজর দেওয়া উচিত, বিশেষত টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে। কারণ ওর মধ্যে মাঠে নেমে বড় বড় ছক্কা হাঁকানোর দক্ষতা রয়েছে। ঘরোয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই মরশুমে শাহরুখের পারফরম্যান্স বেশ ভাল। তাঁর ব্যাটে ভর করে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিও জেতে তামিলনাড়ু।” দীনেশ কার্তিক ফিরতে চাইলেও এখনই এই বিষয় নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে কেউই মুখ খোলেননি। আইপিএল মঞ্চে প্রথম মরশুম থেকেই খেলে আসছেন দীনেশ কার্তিক। ২০১৯ ও ২০২০ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কের দায়িত্বেও ছিলেন দীনেশ কার্তিক। এবারের রিটেনশনের আগেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সামনেই রয়েছে মেগা নিলাম। সেখানে কোন দলে কার্তিক যান এবং কেমন পারফরম্যান্স করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। দীনেশ কার্তিক দেশের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪ একদিনের ম্যাচ এবং ৩২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছেন।