এনএফবি, শিলিগুড়িঃ
জলপাইগুড়ি যাবার পথে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি যাবার পথে এনজিপি স্টেশনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন দিলীপ। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন মুখ্যমন্ত্রী সরকার চালাবেন নাকি পার্টি চালাবেন বুঝতেই পারছেন না। সরকারটাও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিএ নেই,পেনশন নেই চারদিকে ক্ষোভ বিক্ষোভ অবস্থান চলছে। আর পার্টিতেও মারামারি শুরু হয়েছে কেউ কথা শুনছে না। চারদিকে বোমা বন্দুক দিয়ে এ মারে একে ওকে খুব টেনশনের মধ্যে আছেন মুখ্যমন্ত্রী তার মধ্যেও উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ করতে হচ্ছে। কারণ পার্টিতে আর কেউ নাই বাকি সবাই কাদার মধ্যে গড়াগড়ি খাচ্ছে। কলঙ্ক লেগেছে দুর্নীতির, তাদেরকেও বাঁচাতে হচ্ছে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “শুনুন তিন বছর আগে আমি আর রবীন্দ্রনাথবাবু বাগডোগরা থেকে কলকাতা যাচ্ছিলাম তখন বলেছিলাম কোচবিহার থেকে বিমান পরিষেবা চালু করার কথা। তখন মন্ত্রীমশাই বলেছিলেন, হয়ে যাবে এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। আর আমাদের মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক যখন চালু করার জন্য বিমান নিয়ে এল, তখন সেখানে থাকা পুলিশ উঠিয়ে নেওয়া হল যাতে চালু না হয়। এরা একটা রাস্তা তৈরি করতে পারে না এয়ারপোর্ট কিভাবে চালু করবে সেই জন্য কোন ভরসা নেই। কেন্দ্র সরকার জেলায় জেলায় এয়ারপোর্ট তৈরি করেছে ৪৪ থেকে ১৪৪টি এয়ারপোর্ট হয়েছে দেশে। আর সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেলে এইটা ছোট বিমান থেকে বড় বিমানও হতে পারে। যাতে উত্তরবঙ্গের মানুষের যে ক্ষোভ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে একটা অভিযোগ ছিল দূর হবে।
এর পাশাপাশি ডিএ নিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ডিএ দিতে পারবে না কারণ পার্টির লোকেদের পুষবে নাকি সরকারি কর্মচারীদের অধিকার সম্পর্ন করবে। সারা দেশে কেন্দ্র সরকার সব রাজ্য সরকার সবাই ডিএ দিচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ শতাংশ আর রাজ্য সরকারের ৩ শতাংশ ডিএ দিতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আর তাও ডিএ দিচ্ছেন চিরকুট দিয়ে কেন, আগে থেকে ভাবেন নি তার মানে। মাথায় নেই ডিএ দেওয়ার। নেহাত আন্দলন হচ্ছে কর্মচারিদের তাই বাধ্য হচ্ছেন।