অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ক্রিকেট বিশ্বে অভিষেকেই ইডেন গার্ডেন্স নায়ক করেছিল প্রাক্তন পাকিস্তান পেসার শোয়েব আখতারকে। ইডেনে ১৯৯৯ সালের সিরিজে প্রথম দুই বলেই সচিন তেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়কে বোলড করেন শোয়েব। এরপর সেই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে সচিনের বিতর্কিত রান আউটেও যুক্ত ছিলেন শোয়েব। সেই কারণে হয়ত ইডেনের দর্শক শোয়েবকে তেমন পছন্দ করত না। কিন্ত রীতিটা ভাঙে যখন ২০০৮ সালে প্রথম ipl -এ তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে মাঠে নামেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। আর দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে তার সেরা স্পেল তো কখনও ইডেন ভুলতে পারবে না। সেই কারণে কলকাতা নিয়ে একটু বেশি নস্টালজিক রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব জানান, “দেখুন, কলকাতার সাথে আমার সম্পর্ক প্রথমে কিছুটা অদ্ভুত ছিল, কিন্তু পরে অনেকটা কাছে আসে । প্রথমে এটি অদ্ভুত ছিল কারণ আমি যখন সচিনকে প্রথম বলে আউট করেছিলাম এবং তারপরে তার রান আউটে জড়িত হয়েছিলাম, তখন কলকাতা আমাকে ঘৃণা করেছিল। কিন্তু নয় বছর পর ipl এ কলকাতা যেভাবে সাড়া দিয়েছিল আমি সত্যিই পছন্দ করেছি। সারা বাংলা আমার নাম জপ করছিল এবং শাহরুখ নাচছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এই একই কলকাতা যে আমাকে ইঁট ছুড়েছিল এবং এখন আমাকে এত ভালবাসে। ইডেন আমার প্রিয় মাঠগুলির মধ্যে একটি এবং ইডেনের সঙ্গে আমার বন্ধন এখনও অটুট।
এরপরে আখতার জানাচ্ছেন,আমি যখন কলকাতায় শাহরুখ খানের দলের হয়ে খেলতে কলকাতা আসি, তখন লোকেরা জানত যে আমি নির্বাসন কাটিয়ে আসছি এবং আমি প্রশিক্ষিত ছিলাম না এবং আমি আনফিট ছিলাম না। কিন্তু দিল্লী ম্যাচে সুযোগ পাই জয়ের জন্য প্রতিপক্ষের মাত্র ১৩২ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ নিই, সত্যিই শক্তভাবে দৌড়ে বল করি এবং নিজেকে অনেক প্রসারিত করি। সবাই আমার চেষ্টা দেখেছে এবং অবশেষে আমি অনুভব করেছি যে আমি সেদিনের কলকাতার ঋণ শোধ করেছি। যখন আমি সচিনকে আউট করে দিয়েছিলাম এবং তাকে রান আউট করেছিলাম। এটি আমাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করেছিল।” প্রথম ipl ৩৫তম ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান শোয়েব। নিজের প্রথম ম্যাচেই ইডেনের আগুন ঝরিয়ে ছিলেন। দিল্লির বীরেন্দ্র সেহবাগ, গৌতম গম্ভীর, এবি ডেভিলিয়ার্স, মনোজ তিওয়ারিকে আউট করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার। সে বছর কেকেআর-এর হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেন তিনি।