এনএফবি,স্পোর্টস ডেস্কঃ
ডার্বিতে নামার আগে স্টিফেন বলছেন হারলে সবকিছু শেষ হবে না, জুয়ান জিততে চান সমর্থকদের জন্য ,তিন বছর পর ফের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত হতে চলেছে ডার্বি।
স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। শেষ ছ’বারের সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পাঁচবার জিতেছে এটিকে মোহনাবাগান। রবিবার জয় পেলেই টানা ৬টি ডার্বি জয়ের নজির গড়ে ফেলবে সবুজ-মেরুণ শিবির। এই পরিস্থিতিতে দুই দলই চাইবে ম্যাচটি জিততে এবং জিতে ডুরান্ড কাপের পরবর্তী পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে। তবে দুই দলই এখনও ডুরান্ডে জয়ের স্বাদ পায়নি। ইস্টবেঙ্গল যদিও দুটি ম্যাচ ড্র করেছে কিন্তু এটিকে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে হার ও পরের ম্যাচে ড্রয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
ডুরান্ড কাপে জয় অধরা থাকলেও এটিকে মোহনবাগান দলের অন্দরে একেবারেই এ নিয়ে ভাবনা নেই। দল রয়েছে বেশ ফুরফুরে। শনিবার রুদ্ধদ্বার অনুশীলনে সাধারণ জিনিসগুলির উপরেই জোর দেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডুরান্ডে প্রচুর গোল নষ্ট করছে তাঁর দল, যার খেসারত দিতে হয়েছে। তাই ডার্বির দিন বক্সে যাতে কোনও ভুল না হয়, সেটাই বার বার করে বুঝিয়েছেন লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংদের।
ম্যাচের আগের দিন ফেরান্দো বলেন, “ডার্বি নিয়ে আমার বা দলের কোনও চাপ নেই। শেষ দুটো ম্যাচে জিততে পারিনি বলে হতাশ লাগলেও চিন্তিত নই। কারণ গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিততেও পারতাম। খারাপ খেললে বা গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলে চাপ থাকত। একটা অনুশীলন ম্যাচ খেলে নেমে পড়েছি ডুরান্ডে। দল সবে তৈরি হয়েছে। কিছু ভুল ত্রুটি হচ্ছে। তবে ডার্বিতে হবে না সেটাই আশা করি।”প্রতিপক্ষ ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছেন ফেরান্দো। বলেছেন, “ওরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। কয়েকটা খেলা দেখেছি। ভারসাম্য রয়েছে। বিদেশিরাও ভাল। আশা করছি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ডার্বিতে কেউ কখনও এগিয়ে থাকে না। আমরাও নেই। এটুকু বলতে পারি, ছেলেদের সবাই ডার্বি খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। অনেকেরই ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওদের কাছে কোনও চাপ নেই।”
অপরদিকে, ডার্বি নিয়ে ভাবতে নারাজ লাল-হলুদের কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। দল যাতে ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলে সেই পরিকল্পনাতেই মগ্ন তিনি। ডার্বি প্রসঙ্গে স্টিফেন বলেন, “সমর্থকদের আবেগ বুঝি। সবাই ডার্বি জিততে চায়। রবিবার জিতলেও তিন পয়েন্টি পাব। ডার্বি হারলেও সব কিছু শেষ হয়ে যাবে না। সমর্থকদেরও বুঝতে হবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। ৩ সপ্তাহ আগেও আমার হাতে ১২ জন ফুটবলার ছিল। তার পরের সপ্তাহে ১ জন বিদেশি আর ১৫ জন ফুটবলারকে হাতে পাই। কয়েকদিন আগে সবাইকে হাতে পেয়েছি। আমি দল তৈরি করার কাজে হাত লাগিয়েছি। আমি এই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝি। তবে ডার্বি হারলেও আমাদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে না। আমরা যদি ৫-০ তেও জিটি তাও সব বদলে যাবে না।”