অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
লিগ শিল্ড জয় জামশেদপুর এফসি ম্যাচে হেরে হাতছাড়া হয়েছে। ফলে দলের পারফরম্যান্সে কিছুটা চিন্তিত হলেও এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো মনে করেন অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকানোই ভাল এবং প্রতিটি নক আউট ম্যাচের প্রতি মুহূর্তে মনোনিবেশ করতে হবে দলের ছেলেদের। লিগের ২ ম্যাচের সাক্ষাতে প্রথমবার হারলেও শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব, তার প্রভাব এই ম্যাচে পড়বে না বলেই মনে করেন তিনি। শেষ চারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ও মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে হায়দ্রাবাদ দলকে নিয়ে বাগান কোচ জানাচ্ছেন,”আমরা জানি যে, হায়দ্রাবাদ খুব ভাল একটা দলের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নামছি। এই মরশুমটা খুব ভাল কেটেছে ওদের। কুড়িটা ম্যাচ খেলা হয়ে যাওয়ার পরে হায়দ্রাবাদ বোধহয় খুব একটা চাপ নিয়ে খেলতে চাইবে না, বরং ফুটবলটাকে উপভোগ করার কথা মাথায় নিয়ে মাঠে নামবে। সে জন্যই ওরা ভাল দল। তবে এই ম্যাচে জিততে তো চাইবেই ওরা। উন্নত ফুটবলও খেলবে।আগের ম্যাচে কী হয়েছে, কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, সম্প্রতি দু-তিনটে ম্যাচে কেমন খেলেছি, এগুলোর প্রভাব খুব একটা পড়বে বলে মনে হয় না। তা কোনও বাড়তি সুবিধা পাব বলে মনে হয় না। আমাদের সামনে এখন দুটো ম্যাচ। প্রতি ম্যাচই জিততে হবে আমাদের, এমনই মানসিকতা রয়েছে আমাদের দলে। দুটো ম্যাচে আলাদা পরিকল্পনা নেই। দুটো ম্যাচই আমাদের জিততে হবে, এমনই ভাবনা আছে। আশা করি আমাদের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন সত্যি হবে।” হায়দ্রাবাদের বার্থোলোমিউ ওগবেচে প্রতি দলের কাছেই ত্রাস হয়ে উঠেছেন। ওকে আটকানোর জন্য সবুজ মেরুন হেড স্যার বলছেন,”অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখন বলা যাবে না। তবে সত্যি বলতে, আমরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবছি। কী ভাবে নিজেদের পায়ে বল রাখতে হবে, জায়গা বের করতে হবে, আক্রমণে উঠতে হবে।” এই মরশুমে রয় কৃষ্ণা এমন বহু সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বাগান কোচ জানান,”শুধু রয় কেন, সবার সঙ্গেই কথা হয়। এই মরশুমটা প্রত্যেকের কাছেই খুব কঠিন ছিল। কোভিড, চোট-আঘাতে অনেকেই দলের বাইরে ছিল। কিন্তু এখন এই একটা ছোট ব্যাপার নিয়ে পড়ে থাকার সময় নেই আমাদের হাতে। ফুটবলে তো শুধু সেটপিস নেই, আরও অনেক ছোটখাটো ব্যাপার আছে, যেগুলোতে নজর দেওয়া দরকার। কিছু কিছু ব্যাপারে বদল আনা দরকার ঠিকই। কিন্তু বেশি প্র্যাকটিস সেশন যদি না পাওয়া যায়, তা হলে চট করে বদল আনা কঠিন হয়।” লিগশিল্ড হারানোর পরে জুয়ান বলেন,”নক আউট মানেই কঠিন লড়াই। যে কোনও ফলই হতে পারে। যেখানে একটা বা দুটো ম্যাচেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে, সেখানে যে কোনও ফল হতে পারে। এমন নয় যে সামনে কুড়িটা ম্যাচ আছে সামলে নেওয়া যাবে। তাই প্রতিটি মুহূর্তে মনঃযোগ নিখুঁত থাকতে হবে এবং সারা ম্যাচে ফোকাসড থাকাটা খুবই জরুরি।” হায়দ্রাবাদ ম্যাচে সম্ভবত অনিশ্চিত হুগো বৌমস। তাকে খেলানোর ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।হায়দ্রাবাদ শিবিরে করোনা হানা দেওয়ায় দীর্ঘদিন এক নম্বর থাকার পরে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তারা নেমে যায় এক নম্বর থেকে। ফলে তাঁদেরও লিগ শিল্ড হাতছাড়া হয়েছে। সেই কারণে মোহনবাগানের মত দক্ষিণের হায়দ্রাবাদও আইএসএল ট্রফি তুলতে মরিয়া।