রাজ্য

শিল্প-কৃষি বিতর্ক থেকে সিঙ্গুরে শেষ পর্যন্ত মাছের ভেড়ি

এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ

হওয়ার কথা ন্যানো কারখানা। হতে চলছে মাছের ভেড়ি। সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর ছোট গাড়ি তৈরি কারখানার জমি অধিগ্রহন ঘিরে তৎকালীন বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ের বামফ্রন্ট পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। সেই আন্দোলন রাজ্যের ক্ষমতা পরিবর্তনের অন্যতম অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছিল।

ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে আদালতের রায়ে জমি ফিরে পেয়েছেন কৃষকরা।ততদিনে চাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি। সিঙ্গুরের সেই জমিতে এবার তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি। গোপালনগর মৌজায় ১০ বিঘা জমিতে মাছের ভেড়ি তৈরি হচ্ছে। পাশের আরও কয়েকটি জমিতেও ভেড়ি তৈরি হবে বলে দাবি মালিকদের। যন্ত্রের সাহায্যে শুরু হয়েছে মাটি কাটার কাজ।

আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে ভাঙন বিজেপি’র

সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধারা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ বিঘা বা তার বেশি জমি যাদের আছে, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে পুকুর করে দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে যেমন পুকুর করে দেওয়া হচ্ছে, তেমনি তিন বছর বিনামূল্যে মাছও দেওয়া হবে।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, মাটি কাটার ব্যবসা করার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। জমি চাষের ব্যবস্থা করতে পারল না, শিল্প বন্ধ করে চাষ বন্ধ করে মাটি কাটার ব্যবসার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলছেন, ইতিমধ্যে বহু জায়গায় জমি লুঠ করে ভেড়ি হয়েছে। একইসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেখানে তিন ফসলি জমি ছিল, সেখানে ভেড়ি হবে! দিদিমনি সরষে ছড়িয়েছিলেন, আমরা দেখেছি। সরষের মধ্যেই যে ভূত লুকিয়েছিল এখন প্রমাণ হল।

পাল্টা জবাবে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।

শিল্পায়ন না কৃষি থেকে মাছের ভেড়ি। রাজনৈতিক তরজা পিছু ছাড়ছে না সিঙ্গুরের।