অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ছাড়াই ভারতীয় ফুটবল! এবার আইএসএল (isl) অংশগ্রহণকারী সাতটি ক্লাব অন্য এক প্রতিযোগিতায় একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে। গোয়ায় আসন্ন এই লিগে তাদের সঙ্গে যোগ দেবে রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন ইয়ং (RFYC)। এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ১২ মে, যার নাম রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগ (RFDL)।
বেঙ্গালুরু এফসি, চেন্নাইন এফসি, জামশেদপুর এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি, মুম্বই সিটি এফসি এবং হায়দ্রাবাদ এফসি। না, কলকাতার দুই ক্লাব এতে অংশ নিচ্ছে না। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের দলকেও এতে খেলতে দেখা যাবে না।
সাতটি ক্লাবে উঠতি ফুটবলারদের অনেকেই আইএসএলে নিয়মিত সুযোগ পাননি, তাঁরা এই লিগে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পাবেন। যাঁরা উঠতি এবং সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদেরও অনেককে দেখা যাবে। এই ধরনের লিগ ভারতে এর আগে কখনও হয়নি।
যে দুই দল সেরা দু’টি স্থানে থেকে RFDL শেষ করবে, তাদের জন্য থাকছে এক অনবদ্য সুযোগ। এই দুই দল এ বছরের শেষে ইউকে-তে নেক্সট জেন কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চলেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। Fcdl এর সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের চুক্তি অনুসারেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির উদ্দেশ্যে এই নেক্সট জেন কাপ আয়োজন করবে তারা।
RFDL এর সেরা দুই ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে খেলা একাধিক ক্লাবের যুব দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাবে এই টুর্নামেন্টে। অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগে যে দলগুলি দাপিয়ে বেড়ায়, তাদের অ্যাকাডেমি দলগুলির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাবেন ভারতের উঠতি ফুটবলাররা। দেশে ফিরে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মাঠে এই অমূল্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে তাঁদের। এমনকী, প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবগুলি ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ থেকে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সরবরাহ করবে আইএসএল অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলিকে।
এদিন fsdl চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি জানান“রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগে সারা দেশের যুব ফুটবলারদের অনবদ্য সুযোগ এনে দিতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। তারাই দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ। এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাদের বয়সের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলার মঞ্চ পেলে তারা যথেষ্ট উন্নতি করবে। ভারতে ফুটবল প্রতিভার বিশাল খনি থেকে ফসল তুলে আনার জন্য যে বিশ্বমানের ইকোসিস্টেম তৈরির কাজ চলছে, তাতে আরও উন্নতি আনার জন্য এই লিগ আর এক পদক্ষেপ। আমি নিশ্চিত যে, মহামারি পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পরে আমাদের যুব ফুটবলাররা মাঠে ফেরার এই সুযোগ দারুন উপভোগ করবে এবং নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরবে”।
RFDL হবে সিঙ্গল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে। প্রতি দলকে সাতটি করে ম্যাচ খেলতে হবে। খেলার মান যাতে বজায় থাকে, সে জন্য প্রতি ম্যাচের মাঝে অন্তত দু’দিন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাবেন ফুটবলাররা। এবং লিগের মাঝামাঝি সময়ে চার দিন কোনও ম্যাচ রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ গোয়ার দু’টি মাঠে ম্যাচগুলি হবে। অনুশীলনের জন্য তিনটি মাঠ রাখা হয়েছে। এই তিন মাঠেই দফায় দফায় অনুশীলন করবে দলগুলি। ১২ এপ্রিলের মধ্যে সব দল গোয়ায় চলে আসবে এবং তার দু’দিন অনুশীলনের পরে লিগ শুরু হবে।