অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
মোহনবাগান আছে মোহনবাগানেই। রক্তাক্ত ক্লাব। তাঁবু নির্বাচন নিয়ে ক্লাবের রক্ত গঙ্গা বয়ে যাওয়ার ছবি এবারও দেখা গেলো। এদিন ক্লাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় শেষ দিন ছিল । সেখানে কিছু লোক এসে ক্লাব সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এছাড়া হাতে ব্যাট উইকেট নিয়ে একে অপরের মধ্যে মারপিট করেন। ক্লাবকর্তারা বলছেন যে বাইরের লোক এসে ক্লাবের গায়ে কালি ছেটাতে চাইছেন। তবে ক্লাব সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে পদত্যাগ করা প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর লোকজনের সঙ্গে সচিব পদে মনোনয়ন দেওয়া দেবাশিস দত্তর লোকজনের ঝগড়া থেকে হাতাহাতিতে পৌঁছয় ঘটনা। সচিব পদে দেবাশিস দত্ত ও ফুটবল সচিব পদে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন দেন।
বিকাল তিনটে পঞ্চাশে ক্লাবে মনোনয়ন দেওয়ার সময় ঝামেলার সূত্রপাত। এদিন কোনো পুলিশ ছিল না ক্লাবে। ময়দান থানা পরে এসে তিনজনকে গ্রেফতার করে । ময়দান থানার বক্তব্য, এদিন যে মোহনবাগান ক্লাবের মনোনয়ন সেই খবরই তারা জানতেন না। এরপরেই ক্লাব তাঁবু খালি করে দেওয়া হয়।
প্রায় ২ হাজার জন মানুষ এদিন ক্লাবে ভিড় করেন। মোহনবাগানের সচিব পদে আবেদন করা বর্তমান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, “আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। যারা এমন কাজ করেছে তারা মোহনবাগান সমর্থক হতেই পারে না। এগুলো কাম্য নয়। মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই ।” বর্তমান সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “জানি না কেন করলো, কে ভাঙলো। পরিষ্কারভাবে ক্লাবের ভালো কাজ কেউ সহ্য করতে পারছে না তারা এমন করছে।” তবে কর্তারা স্বীকার না করলেও সৃঞ্জয় বসুর লোকজনের সঙ্গে দেবাশিস দত্তর লোকজনের যে ঝামেলা সেটা বুঝতে কারোর অসুবিধা হচ্ছে না । রাজনৈতিক চাপে সৃঞ্জয় সামনে আসছেন না। চার বছর আগে এই মোহনবাগান তাঁবুতে একসময়ের দুই বন্ধু টুটু বসু ও অঞ্জন মিত্রর সমর্থকদের হাতাহাতিতে ক্লাব রক্তাক্ত হয়। এবারও ফের একবার সেই ছবি ফিরে এলো শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবে।