ক্রীড়া

ঠিক হলো এফসি ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

এটিকে মোহনবাগান তাঁদের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল খেলবে আশিয়ান জোনাল চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে, ৭ সেপ্টেম্বর। এদিন এফসির সূচিতে এমনটা জানা গেলো। গত মে মাসে যুবভারতীতে মাজিয়া এফসিকে হারিয়ে এফসির ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে টিম বাগান। এরপরে তারা নিজেদের প্রতিপক্ষর অপেক্ষায় ছিল সেটা জানা গেলো। এই মরশুমে তারা রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের ছেড়ে দিলেও বিশ্বকাপ জয়ী পল পোগবার দাদা ফ্লোরেনিটন পোগবাকে দলে নিয়েছে। তিনি আগামী ২৭ জুলাই কলকাতায় আসবেন। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে দল অনুশীলন করবে ক্লাবে। ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল কলকাতায় হওয়ায় এটিকে মোহনবাগানকে আর বাইরে যেতে হবে না কারণ ১৬ অগাস্ট থেকে ডুরান্ড কাপ শুরু হওয়ার কথা আর কলকাতার যুবভারতীতে প্রতীক্ষার ডার্বি দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ডুরান্ড কাপের।

সম্প্রতি এটিকে মোহনবাগানের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে দলের নতুল খেলোয়াড়দের প্রসঙ্গে দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দো বলেন, “আমাদের দলে নতুন যারা সই করেছে, তাদের নাম সবাই জানেন। আশিস, আশিক, হামতে, ব্রেন্ডান, পোগবা— এরা দলে যোগ দেওয়ায় আমি খুশি। এরা প্রত্যেকেই ভাল খেলোয়াড়। আশা করি, ওরা আমাদের স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। যারা ছেড়ে চলে গিয়েছে, তাদের উপযুক্ত বিকল্প তৈরি করে নিতে হবে। তবে যারা এই ক্লাবকে সফল হতে সাহায্য করেছে, তাদের অবদান ভুললে চলবে না। এখনও দল গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। আরও কয়েকটা জায়গা খালি রয়েছে। তবে আমি খুশি, যারা দলে রয়েছে, তাদের যথেষ্ট লড়াকু মানসিকতা রয়েছে”।

রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের জায়গায় কারা আসবেন, তা নিয়ে যখন সমর্থকদের কৌতুহলের শেষ নেই, তখন তাঁদের আশ্বাস দিয়ে ফেরান্দো বলেন, “দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমাদের মাথায় আছে ব্যাপারটা। অনেক ভাল ভাল খেলোয়াড় রয়েছে আমাদের হাতের সামনে, ভাল নাম্বার নাইন বা টেনও রয়েছে একাধিক। কয়েকজনের সঙ্গে কথা চলছে। প্রতিভা ও দক্ষতার দিক থেকে অনেক ভাল ভাল ফরোয়ার্ডই আছে। কিন্তু সেটাই সব নয়। দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে পারবে যারা, দলের প্রতি যাদের দায়বদ্ধতা বেশি, সেই খেলোয়াড়দেরই আমরা দলে নিতে চাই। এ রকম ফুটবলার খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। অনেকে গোল করার জন্য বা ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণের জন্য মাঠে নামে। কিন্তু দলের জন্য খেলাটাও খুব জরুরি। নিজেকে দলের অংশ মনে করা দরকার। আমাদের দলে যে সেন্টার ফরোয়ার্ড আসবে, তার প্রতিভা ও দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবের প্রতি তাকে দায়বদ্ধও হতে হবে”।

গত মরশুমেও এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে উঠলেও শোচনীয় ভাবে হেরে এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়। এ বার আর তা হতে দিতে চান না ফেরান্দো, যিনি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে এফসি গোয়াকে লড়াকু ফুটবল খেলতে সাহায্য করেছিলেন। এ বার এএফসি কাপে তাঁর দলের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের কথা বলতে পারব না। তবে আমার স্বপ্নের কথা বলতে পারি। মরশুমের সব ট্রফি জেতার স্বপ্ন রয়েছে আমার চোখে। কিন্তু এটা স্বপ্নই। এই স্বপ্ন সত্যি করতে হলে দলকে ভাল ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। ভাল পরিকল্পনা তৈরি করে এগোতে হবে। এতে আমাদের স্টাফ ও কর্তাদেরও ভূমিকা রয়েছে। খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা নিজেদের সেরাটা দিতে পারে”।