মনোদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদঃ
পাঁচ থেকে পাঁচশো কিম্বা তারও বেশি মূল্যের গ্রিটিংস কার্ডের পসরা সাজিয়ে স্কুল-কলেজের বাইরে বসে থাকতে দেখা যেত বহুজনকে। পড়ুয়ারা তো বটেই সকল মানুষই ভিড় জমাতো তা কিনতে। রাস্তার মোড়েও সাজানো থাকতো হরেক রকমের, নানান দামের গ্রিটিংস কার্ডের দোকান। তবে ডিজিটাল যুগে এখন এসবই অতীতের পাতায়।
শহর বহরমপুরের গুটিকয়েক দোকান ছাড়া নেই গ্রিটিংস কার্ডের দেখা। আবার সেই দোকানেও নেই তেমন ক্রেতাদের ভিড়। দাম বৃদ্ধি ও সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে গ্রিটিংস কার্ডের চাহিদা কমেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বহরমপুরের গোরাবাজারের কয়েকটা দোকানে খোঁজ করলে পাওয়া যাচ্ছে গ্রিটিংস কার্ড। বিক্রি না থাকায় উৎসাহ হারিয়েছেন বিক্রেতারাও। কয়েকজন তরুণ তরুণী নিজেদের প্রিয় জনকে গ্রিটিংস কার্ড দেওয়ার ইচ্ছায় দোকানে এলেও, তাঁদের মনের মতো কার্ড পেয়ে উঠছেন না বলে দাবি করেন তাঁরা।
গোরাবাজারের ব্যবসায়ী অজয় বাবুর মতে, টানা দু’বছর ধরে করোনা, লকডাউন ও স্কুল কলেজ সে ভাবে খোলা না থাকায় বিক্রি নেই গ্রিটিংস কার্ডের। “দুবছর আগে যাও কিছুটা ছিল এখন তো সেটাও নেই,কেনা দামটা উঠাতে পারবো কিনা সেটাই চিন্তার বিষয়।”- ভারাক্রান্ত মনে এমনই জানালেন এক বিক্রেতা।
অনেক দোকানেই কার্ড রাখা বন্ধ করে দিয়েছে। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় আগামীতে আর কার্ড দোকানে তুলবে কি না, সেটাই ভাবছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েক বছর আগেও শহর বহরমপুরে এই সময় একের পর এক দোকানে রঙ বাহারি গ্রিটিংস কার্ড ঝুলতে দেখা যেত। কিন্তু ডিজিটাল যুগে গ্রিটিংস কার্ড এখন শুধুই স্মৃতি।