আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

এনএফবি, কলকাতাঃ

টাকা দিয়েও মেলেনি গ্রুপ ডি পদের চাকরি, আর তাই বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন লালগোলার আব্দুর রহমান। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। তাঁর মৃত্যুর পর উদ্ধার হয়েছিল একটি সুইসাইড নোটও। সেখানে কোনও এক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা ছিল। এই ঘটনায় লালগোলা থানা মৃতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল। এর বিরুদ্ধে আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। অবশেষে সেই দাবি মেনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে মামলায় তদন্তের অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

ঘটনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আবদুর রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘুষের টাকা তোলার কথা লিখে যান লালগোলার ওই যুবক। সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। প্রথমে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিবাকর কনুইকে গ্রেফতার করা হয়। সে কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতা থেকে মিডলম্যান ভূমিকা পালন করছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিহ্নিতকরণে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা যায়, লালগোলা থানার পুলিশ মৃত আবদুর রহমানকেই অভিযুক্ত হিসাবে দেখিয়ে একটি চার্জশিট পেশ করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল আত্মঘাতী চাকরি প্রার্থী আব্দুর রহমানের দেহ – NF Bangla Private Limited (newsfrontbangla.com)