এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে সমুদ্রে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়েতে পারে এই সাইক্লোন, বাংলাদেশের দিকে বাঁক নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তার জেরে হওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৯০-১০০ কিলোমিটার। স্থল ভাগে তা ঢুকলে গতি কমে হতে পারে ৭০-৮০ কিলোমিটার। আর থাকবে বৃষ্টির দাপটও। হাওয়া অফিসের সতর্কতা মতো, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগ হবে দুই চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই মতো গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘূণিঝড় সামলানোর আগাম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিডিওদের সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের ৯ টি ব্লক এলাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার উপকূল এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি এনডিআরএফের দল গঠন করে উপকূল এলাকার মানুষজন ও মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় এনডিআরএফ তিনটি টিম থাকবে, দিঘা, মন্দারমনি ও হলদিয়াতে। এসডিআরএফ দুটি টিম থাকবে দেশপ্রাণ ব্লক পেটুয়াঘাট ও নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে বলে জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
এই সম্বন্ধে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, আমরা এর আগে ফনি, আমফান, ইয়াসের মতন বড় বড় ঝড় সামাল দিয়েছি। আমরা সর্বতোভাবে প্রস্তুত রয়েছি, অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে মানুষ সরানোর জন্য নির্দেশ আমরা দিয়েই রেখেছি প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে। আগামী ২৩ তারিখ থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার লোক সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সংখ্যা তা আনুমানিক দেড় লক্ষ বলে জানালেন মন্ত্রী।
আরও জানা যায় যে, জেলা প্রশাসন যেমন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে তেমনি জেলার জন প্রতিনিধিরাও প্রস্তুত রয়েছে এলাকার মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। উপকূল এলাকার মানুষ জনকে প্রয়োজনে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়ার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মৎস্যজীবীদের মাঝ সমুদ্র থেকে পাড়ে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি কয়েক দিন সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চলছে আকাশ পথেও নজর দারি পাশাপাশি দিঘায় আসায় পর্যটকদের বিশেষ নজদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রবিবার সকাল থেকে সমুদ্র সৈকত দিঘায় বাড়তি গাড়ি শুরু করল প্রশাসনের পক্ষ থেকে, মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ যাতে কোন পর্যটক সমুদ্রের নামতে না পারে, এই দিকে সকাল থেকেই কার্যত খুলে ফেপে উঠেছে সমুদ্র, আর ক্যামেরা বন্দি করতে ব্যস্ত সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকরা।