বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজিত হতে পারে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে

এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের আকর্ষণীয় ম্যাচ আয়োজনের প্রধান দাবীদার বলে জানা গেছে। বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে যেহেতু এই স্টেডিয়ামের এক লাখেরও বেশি দর্শক ধারণের ক্ষমতা রয়েছে, তাই বিসিসিআই সম্ভবত সেখানেই উত্তেজক ম্যাচটি আয়োজন করতে পারে। দীর্ঘ সাত বছর পরে ভারতের মাটিতে প্রথমবার কোনো ক্রিকেট ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান।

এদিকে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৬তম সংস্করণ শেষ হওয়ার পরে বিসিসিআই সূচী ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে নাগপুর, বেঙ্গালুরু, তিরুভানান্থাপুরম, মুম্বাই, দিল্লি, লখনউ, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, রাজকোট, ইন্দোর, বেঙ্গালুরু ও ধরমশালাকে সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচটি ৫ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে পারে। আহমেদাবাদে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজিত হতে পারে।

বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল নিরাপত্তার কারণে চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম ও বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বেশীর ভাগ ম্যাচ খেলতে পারে। ইডেন গার্ডেন্সেও তাদের ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, কলকাতা ও গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের বেশীর ভাগ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এই শহর দুটিতে বাংলাদেশের সমর্থকদের ভ্রমণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।

অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্পিন-বান্ধব ট্র্যাক পছন্দ করছে টিম ম্যানেজমেন্ট উল্লেখ্য, সময়সূচী চূড়ান্ত করার আগে বিসিসিআইয়ের কিছু কর্মকর্তা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং টিম ম্যানেজেমেন্ট অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচগুলি এমন জায়গায় বরাদ্দ করতে বলেছে যেখানে সাধারণত স্পিনাররা সাহায্য পায়। মনে করা হচ্ছে যে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল ভারতের তৃতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ঘরের মাঠের যতটা বেশী সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

“ভারতীয় দল গত কয়েক বছরে ঘরের মাঠে মন্থর ট্র্যাকে ভালো পারফর্ম করেছে। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট অনুরোধ করেছিল যে যখনই সূচী তৈরি করা হোক, ভারতীয় দলকে ধীরগতির পিচে শীর্ষ দলগুলির মুখোমুখি হতে দেওয়া হোক। তারা ঘরের মাঠের সুবিধা পেতে চায়,” বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছে।
এদিকে, মনে করা হচ্ছে যে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার আয়োজক হওয়ার প্রধান দাবীদার হতে পারে চেন্নাই। অন্যান্য পাঁচটি শহরে ভারতের বাকী ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে।