অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়ে অভিযান শুরু করা ভারত মুখ থুবড়ে পড়লো নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে । ২৬০ রানের লক্ষ্যে নেমে, কিউয়ি বোলাররা শেষ পর্যন্ত ভারতকে ১৯৮-তে সীমাবদ্ধ রাখে।
এর আগে, ভারত প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং অদ্ভুতভাবে বিস্ফোরক ওপেনার শাফালি ভার্মাকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখে। সুজি বেটস তাড়াতাড়ি আউট হন, পূজা ভাস্ত্রকারের সৌজন্যে। এরপর সোফি ডিভাইনও যখন আউট হন ৩৫ রানে তখন নিউজিল্যান্ডের রান ১১ ওভারে ৫৪/২। সেখান থেকে অ্যামেলিয়া কার এবং অ্যামি স্যাটারথওয়েটের পঞ্চাশের সৌজন্যে বড় রানের দিকে এগোতে থাকে দল। উভয় ব্যাটারই নিয়মিত বাউন্ডারি পেতে থাকেন। নিউজিল্যান্ড কখনই বড় পার্টনারশিপ গড়েনি। কিন্তু উইকেট পতন তাদের রান তোলার গতিকে বাধা দেয়নি। স্যাটারথওয়েটের ইনিংসটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ তিনি ৮৪ বলে ৭৫ রান করেন এবং কার ৫০ রানে আউট হন।
ম্যাডি গ্রিন এবং কেটি মার্টিন বড় ইনিংস খেলতে পারেনি তবে তাদের স্ট্রাইক-রেট স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ছিল। নিউজিল্যান্ড তাদের ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ২৬০ রানের প্রতিযোগিতামূলক স্কোর খাড়া করে। ভাস্ত্রকার শুধু ফিল্ডিংয়েই ব্যতিক্রমী ছিলেন না, বল হাতে তাঁর পরিসংখ্যান ছিল ১০-০-৩৪-৪।
২৬১ রান তাড়া করতে নেমে ভারতকে ভালো ও দ্রুত শুরু করতেই হত। তবে ওপেনিং জুটি স্মৃতি মান্ধানা এবং ইয়াস্তিকা ভাটিয়া খুবই মন্থরভাবে শুরু করেন। স্মৃতি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ার পরেও রানের গতি বাড়েনি। ভারত ২০ ওভারের ভিতরেই ৩ উইকেট হারায় এবং বোর্ডে তখন মাত্র ৫০।
মিতালি রাজের স্ট্রাইক-রেটও দুর্বিষহ ছিল। কারণ তিনি ৫৬ বলে মাত্র ৩১ রান করতে পারেন। হরমনপ্রীত কৌর প্রথম দিকে তাঁর সময় নিলেও তিনিই একমাত্র ব্যাটার যিনি ১০০-র বেশী স্ট্রাইক-রেটে রান করেছিলেন। হানা রোয়ের এক ওভারে কৌর ২০ রান তোলেন কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। শেষ অবধি ভারত ১৯৮ তুলেই অল-আউট হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার লিয়া টাহুহু (১০-২-১৭-৩)। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অ্যামি স্যাটারথওয়েট তাঁর ৭৫ রানের অবদানের জন্য।