ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ ফ্যামিলি রান ২০২৪ পাওয়ারড বাই স্প্রিন্ট : সুস্থতা, পরিবার এবং ঐক্যের পথে একসাথে এগিয়ে চলা

এনএফবি ডিজিটাল

স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রচারে ‘ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সমর্থন ও উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তরুণ প্রজন্মকে সক্রিয় করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘ফ্যামিলি রান ২০২৪’। এই ইভেন্টের মূল লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে উৎসাহিত করা এবং প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে শারীরিক সক্রিয়তার প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা।

‘ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ একটি সামাজিক ও প্রযুক্তিগত সেবামূলক নেটওয়ার্ক, যা সার্বজনীন স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার প্রচারে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে একটি লম্বা দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এই দৌড়ে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ যেমন থাকছে, তেমনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণের সুবিধাও থাকছে।

ইভেন্টটি শুধুমাত্র একটি দৌড় প্রতিযোগিতা নয়, এটি সুস্থ জীবনধারা, পরিবার, এবং একাত্মতার প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হবে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর ও সক্রিয় জীবনযাপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগ্রত করতে এই দৌড় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের সকল সদস্য একসঙ্গে অংশগ্রহণ করতে পারবে, যা একসঙ্গে সময় কাটানোর একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।

রেজিস্ট্রেশন শুরুর তারিখ এবং শেষ তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ – ১৫ অক্টোবর ২০২৪।

বাংলাদেশ ফ্যামিলি রান ২০২৪ আয়োজনটি স্প্রিন্ট এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে আয়োজিত হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ইউনাইটেড হাসপাতাল, টোটাল টুলস বাংলাদেশ, পাকেলো লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশ, ইটারনাল সিরামিক্স, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, মোশন ভিউ, পোলার আইসক্রিম, ব্রুভানা, সানকুইক বাংলাদেশ, নিউট্রি প্লাস, মিস্টার নুডলস, অল টাইম এবং নেসলে গোল্ড কর্ন ফ্লেক্স

এই ইভেন্টটি আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৫টায় শুরু হওয়া এই দৌড়ে অংশগ্রহণকারীরা একটি বিশেষ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবে। পরিবার, সুস্থতা ও একাত্মতার এই মিলনমেলা স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রতি সবার উৎসাহ বাড়াবে।

ইমরান ফাহাদ, ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, “নতুন বাংলাদেশ মানে শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি ধারণা, একটি চেতনা, যেখানে প্রতিটি মানুষ সমান সুযোগ পাবে। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে প্রযুক্তি, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজলভ্য হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো যুবকদের ক্ষমতায়ন করে তাদের প্রতিভা এবং উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সমাজ তৈরি করা। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যেখানে মানুষ, প্রকৃতি, এবং প্রযুক্তি হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।”