এনএফবি, জলপাইগুড়িঃ
জামাইষষ্ঠীতে এবার জমজমাট ভিড় জলপাইগুড়ির বাজারে। করোনা পরিস্থিতির জন্য গত দু’বছর জামাইষষ্ঠীর বাজারে মন্দাভাব থাকায় হতাশ হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
তবে এবারের জামাইষষ্ঠীর বাজারের চিত্রটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। মাছ মাংসের বাজারের পাশাপাশি কাপড় ও উপহারের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এতে বেশ খুশি ছিলেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে দু’বছর পর ফের আগের মতোই জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে বেশ খুশি ছিলেন সকলেই। মেয়ে জামাইরা অনেকেই বাইরে থেকে এসেছেন। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে তাদেরও বাজারে এসে কেনাকাটা করতে দেখা গেল। সবমিলিয়ে এবার বেশ জমজমাট দেখা গেল জামাইষষ্ঠীর বাজার। জামাইষষ্ঠীর বাজারে এবার জিনিসের দাম খুব একটা বাড়েনি। এজন্য জলপাইগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাজারে সাধারণ দিনের দামেই মাছ সহ অন্যান্য জিনিস মিলেছে এবার। তাই জামাইষষ্ঠীর মাছ বাজারে এসে দাম নিয়ে ক্রেতাদের খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। মাছ কিনতে আসা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বলেন, বাজারে ক্রেতা কম থাকায় মাছের দাম বাড়েনি এবার। রবিবার জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মাছ বাজারে মাছ বিক্রি হয়েছে সাধারণ দামেই। চিতল, পাবদার সঙ্গে বাজারে ছিল প্রচুর ইলিশ মাছ। ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২০০ – ২০০০ টাকা কেজি দরে।ছিল ছোট বড় নানা রকমের চিংড়ি। বিক্রি হয়েছে সাড়ে চারশো থেকে ছয়শো টাকার মধ্যে। তার সাথে অন্যান্য মাছের দামও স্বাভাবিকই ছিল। কাতলা, ট্যাংরা, বোয়াল, পাবদা, বোরোলি ও রুই ইত্যাদি নানা ধরণের মাছ কেজি প্রতি চারশো থেকে ছয়শো টাকাতেই মিলেছে।