ম্যাচ হেরেও রয় কৃষ্ণকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে অনুতপ্ত নন জুয়ান

এনএফবি,স্পোর্টস ডেস্কঃ

এএফসি কাপে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে কুয়ালালামপুর সিটি এফসির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে হার মানে এটিকে মোহনবাগান। তবে সবথেকে বড় কথা দলে গোল করার লোকের অভাব বড্ড চোখে পড়ল যেটা ডুরান্ড কাপেও পড়েছিল যা আইএসএল শুরুর আগে বড় ধাক্কা। তাহলে কি রয় কৃষ্ণকে ছেড়ে দেওয়া কোচ জুয়ান ফেরান্দর বড় ভুল। জুয়ান কিন্তু এইসব মানছেন না। ম্যাচের শেষে তিনি নিজের সিদ্ধান্ততে অনড়। তার কথায়,’আমার মনে হয় না (কৃষ্ণদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল)। ম্যাচ হারলেই তখন এইসব বিষয়গুলি সামনে উঠে আসে। তবে আমার মনে হয় যারা এখানে নেই, সেইসব খেলোয়াড়দের বিষয়ে ভেবে বা কথা বলে এনার্জি নষ্ট করা উচিত নয়। যারা স্কোয়াডে রয়েছে, তাদের নিয়েই আমায় কাজ করতে হবে আমায়। ম্যাচ হেরে সকলেই ভীষণ হতাশ। তবে আমরা নিজেদের পরিশ্রম করা চালিয়ে যাব।’

এছাড়া জুয়ান জানাচ্ছেন,ম্যাচে, কুয়ালালামপুর সিটি সবসময় তাদের বক্সের খুব কাছে ছিল এবং আমাদের স্পেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হয়েছিল। তিনটি ভুলের জন্য আমরা তিনটি গোল খাই সেটা স্বীকার করছি। এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। আমরা বল ধরে রাখার চেষ্টা করেছি, আমরা স্পেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তাতে কোনো সাফল্য পাইনি।” নতুন বিদেশী দিমিত্রিকে না নামানো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। জুয়ান জানালেন,“দিমিত্রি গত তিন দিনে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি ওকে না খেলানো কার্যকরী সিদ্ধান্ত । কার্ল ৬ নং হিসাবে ভাল কাজ করছিল এবং জনি ভাল খেলেছে। তবে ডিফেন্সকে আমি যেমন আশা করেছিলাম তেমন ভালো হয়নি আমি ডিফেন্স নিয়ে হতাশ ।’
এছাড়া বাগানের স্প্যানিশ কোচের বক্তব্য,
“ আজ শুধুমাত্র একটি দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছিল এবং অন্য দল তাদের সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। কখনও কখনও আমাদের মাঠে খেলার আক্রমণে আরও সংঘবদ্ধ হতে হবে,আমাদের মনোবিদের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে হবে।

যখন আপনার সুযোগ থাকে এবং আপনি সুযোগগুলি মিস করেন, তখন মানসিকতা এমনভাবে ভয় পায় যে আমরা যদি না জিততে পারি, আমরা হারব। এমন মানসিকতা থেকে ফুটবলারদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
টিকে মোহনবাগান দল: বিশাল কয়েথ (গোল), প্রীতম কোটাল (আশিস রাই), ফ্লোরেন্তিন পোগবা (অধি), ব্রেন্ডান হ্যামিল (ফারদিন আলি মোল্লা), শুভাশিস বোস, দীপক টাঙরি (কিয়ান নাসিরি), কার্ল ম্যাকহিউ, জনি কাউকো, আশিক কুরুনিয়ান, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো।