অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
দেড় মরশুম আগেও নাইটদের হয়ে টস করতে নামতেন একজন। অন্যজন ছিলেন কেকেআরের স্পিন বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেই দু’জনই অর্থাৎ দীনেশ কার্তিক এবং কুলদীপ যাদব এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শিবিরে। আর দু’জনই নিজেদের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রথম ম্যাচেই নজর কেড়েছেন। ডেথ ওভারে ডিকে-র ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ৩২ রান। আর কুলদীপ চার ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে নিয়েছেন তিন উইকেট। বুধবারের ম্যাচের আগে এই দুই প্রাক্তন নাইটই এসআরকে-র দলের মাথাব্যথার কারণ। তার উপর, নিজেদের শেষ ম্যাচ ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামেই খেলেছিলেন বিরাট কোহলিরা। যেখানে দু’শোর উপর রান তুলেছিল আরসিবি। তাই সবমিলিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তার মেঘ রয়েছে নাইট শিবিরে।
তবে অন্তত একটি বিষয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে কেকেআর। প্রথম ম্যাচেই নাইটরা চেন্নাই সুপার কিংসের মতো হেভিওয়েট দলকে হারিয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। তাও সেই ম্যাচে নাইটরা তিন বিদেশিকে খেলিয়েছিল। উল্টোদিকে, ২০৫ রান করেও বিশ্রী হার হজম করতে হয়েছে ব্যাঙ্গালোরকে। যা নিয়ে চিন্তায় আরসিবি-র নতুন অধিনায়ক ফ্যাফ দু প্লেসি।
নাইটরা অবশ্য বেশি চিন্তায় ব্যাটসম্যান দু প্লেসিকে নিয়ে। আগের ম্যাচে ৩৯ বল খেলার পর তাঁর স্ট্রাইক রেট পৌঁছেছিল একশোয়। কিন্তু তার পরের ১৭ বলে তিনশো স্ট্রাইক রেটে খেলে যে তাণ্ডব দেখিয়েছেন তা যে কোনও বিপক্ষ অধিনায়কের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। যে ব্যাটিং-এর জেরে বোঝাই যাচ্ছিল না যে উল্টোপ্রান্তে বিরাট কোহলি নামের কোনও ব্যাটসম্যান রয়েছেন।
দু প্লেসি, বিরাট, কার্তিকদের আটকাতে নাইটদের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারাইনের স্পিন জুটি। স্ট্র্যাটেজি পরিষ্কার, ঢিমে গতির বল করে স্ট্রোক খেলার রাস্তা অপেক্ষাকৃত কঠিন করে দেওয়া। যে কারণে শিবম মাভির বদলে মহম্মদ নবিকে খেলানোর চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করছে নাইট শিবিরে। সেক্ষেত্রে স্পিন বিভাগে বৈচিত্র্য বাড়বে। মিডল অর্ডারও মজবুত হবে। সেক্ষেত্রে উমেশ, রাসেল এবং বেঙ্কটেশ আইয়ার পেস বিভাগ সামলাবেন।
নাইটদের ব্যাটিং বিভাগে বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে পরিস্থিতি বুঝে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং পজিশন বদল করা হতে পারে।