এনএফবি, কলকাতাঃ
দক্ষিণ কলকাতার অনেকাংশ তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গেছে৷আর তার জেরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। শাসক দলের হোর্ডিংয়ে শুধুই অভিষেক। সেখান থেকে উধাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাসবিহারী, কালিঘাট, ভবানীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টার পড়েছে। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।’ কোনও পোস্টারে আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। এই লড়াই আমাদের ২৪ এর লড়াই।’ সবার মুখে এখন একটাই প্রশ্ন? তাহলে কি মমতা ব্যানার্জীর সময় শেষ?
তবে এই পোস্টার সম্পর্কে কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিরোধীরা এই পোস্টারের কথা বলছেন, সেখান থেকে সরে আসা ভালো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সংলাপকে ব্যবহার করেই কেউ এই হোর্ডিং দিয়েছেন। এটা তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দিয়েও হোর্ডিং তৈরি হয়। এখানে এত আলোচনার কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, অভিষেক সেনাপতি। আর নতুন তৃণমূলের কথা অভিষেক বহুবার বলেছেন। এটা নতুন কিছু নয়, নতুন তৃণমূল মানে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
তবে তৃণমূলের তরফ থেকে বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও এই ঘটনায় যে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছে, তা স্পষ্ট। বিতর্ক শুরু হতেই হোর্ডিংগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি পোস্টারের নিচে লেখা ছিল, ‘আশ্রিতা ও কলরব।’ মনে করা হচ্ছে তারাই এই পোস্টার দিয়েছিল। এরপর এখন প্রশ্ন ওঠে, হোর্ডিংয়ে শুধু অভিষেকের ছবি দিয়ে কি তাহলে বিকল্পের বার্তা দেওয়া হচ্ছে?এই বিষয় প্রসঙ্গে আজ সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দুর্নীতির হাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ইঞ্চি সাইজ থেকে ফুট সাইজ তৃণমূল কংগ্রেসের সব নেতারাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই মানুষকে বোকা বানানোর একটি নতুন ফান্ডা তৈরি করা হয়েছে।’ তবে তৃণমূলের নতুন পোস্টারের মাধ্যমে দল কি ইঙ্গিত দিতে চলেছে তা একমাত্র সময়ই নির্ধারণ করতে পারবে ৷