এনএফবি ডেস্ক, ইসলামাবাদঃ
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল রবিবার পাক সংসদে। আজ বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবেই সংসদের সহকারী অধ্যক্ষ কাসিম সুর ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, এদিন সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দিয়েছেন। আস্থাভোটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বিরোধীরা অধ্যক্ষ আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার পর সুরি সেই দায়িত্ব নেন।
এদিকে, ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাওয়ায় যরপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলনেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেন, ”সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ ঐক্যবদ্ধভাবে বিরোধী দল সংসদে ধর্না দেবে। আমাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।”
এদিকে, রবিবার সংসদে আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা আগেভাগেই করেছিল প্রশাসন। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অশান্তি এড়াতে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জিও নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, পিটিআই সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ডি-চক পর্যন্ত এবং সংসদ ভবনের মূল ফটক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আজ সংসদে এবং এর আশেপাশে ব্যাপক গন্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। সংসদ চত্বরে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ”রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে বলেছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। আমি পাকিস্তানের জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি”। পাশাপাশি এ দিন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহিরাগত শক্তি নয়, দেশের জনগন ঠিক করুক কারা দেশ চালাবে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে বড় ধাক্কা! ইমরানের পদচ্যুতি সময়ের অপেক্ষা