অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
একের পর এক গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া। ফলস্বরূপ গোকুলাম এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরে প্রথমবার আই লিগ ট্রফি ঘরে তুলতে ব্যর্থ ১৩০ বছরের ক্লাব । এদিন যুবভারতীতে আইলিগ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ নির্ভর ফুটবল শুরু করে দুই দল। ম্যাচের প্রথমার্ধেই মহামেডান বড়ো ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সাদা কালোর ত্রিনিদাদের মার্কোস জোশেফ দুটো সহজ সুযোগ মিস করেন। ১২ মিনিটে আর ২৪ মিনিটে। ৩০ মিনিটে রুডোভিক মিস করেন। ৪২ মিনিটে গোকুলামের ফ্লাচার মিস করেন। প্রথমার্ধে গোকুলাম অনেক রক্ষনাতক ফুটবল খেলে। কিন্তু দ্বিতীয়াধে অন্য গোকুলামকে দেখা যায়, আক্রমণ নির্ভর খেলা শুরু করে তারা। তাতেই মিলল সাফল্য। একদম শুরুতেই ৪৯ মিনিটে মহামেডান বক্সে গিয়ে থ্রু বল নিয়ে গোল করেন গোকুলামের ঋশাদ। গোল খেয়ে জেগে ওঠে মহামেডান। ৫৪ মিনিটে দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করেন মার্কোস জোসেফ । কিন্তু সেই বল আজহারুদ্দিন মল্লিকের পায়ে লাগায় তার নামেই গোল বলে বিচার করা হয়। এরপর গোটা যুবভারতীর সাদা কালো সমর্থকরা ঊচ্ছাসে ভেসে ওঠেন। তবে ম্যাচে সমতা ফেরালেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি। লুকা মাজসিনের বাড়ানো বলে এমিল বেনি ৬০ মিনিটে গোল করে। দুটো গোল খেয়ে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলা শুরু করে মহামেডান স্পোর্টিং। গোলের মুখই খুলতে পারেনি তারা। ৭৫ মিনিটে আজহারুদ্দিন মল্লিক হেড থেকে সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারেননি। ৮৫ মিনিটে বক্সে সহজ সুযোগ পেয়েও সেটা মিস করেন মহামেডানের তরুণ ফুটবলার বুয়াম । ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে মার্কোস গোকুলামের বক্সে গোলরক্ষককে ফাঁকা পেয়েও গোল করতে পারেননি । সারা যুবভারতীতে ছেয়ে ওঠে হতাশা। গ্যালারিতে বোমা ফাটান সাদা কালো সমর্থকরা। এদিন মহামেডান সমর্থকরা প্রায় সারা বাংলা থেকে এসে মাঠ ভরিয়েছিল। প্রায় পঞ্চাশ হাজার দর্শক হয়েছিল মাঠে। তবে সন্তোষ ট্রফিতে কেরালার দর্শকদের মতো গগনচুম্বি চিৎকার করতে ব্যর্থ সাদা কালো সমর্থকরা । পরপর দুই বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো গোকুলাম এফসি। অতীতে কোনো দল পরপর দুই বার আই লিগ ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। চল্লিশ বছর পর কলকাতা লিগ জিতলেও আই লিগ জেতা হলো না শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের।