এনএফবি, বালুরঘাটঃ
অবশেষে করোনা অতিমারীর জট কাটিয়ে বালুরঘাটের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র ফের চালু করতে চলেছে দক্ষিন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন। যদিও ২০১১ সালে কাজ শুরুর পর ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করার পর এই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে কোনও নাট্যচর্চাই হয় নি। তার বদলে করোনা অতিমারীর হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে অস্থায়ীভাবে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এই নাট্যউৎকর্ষ কেন্দ্রটি।
বালুরঘাট রাজ্যের মধ্যে নাটক ও সাংস্কৃতিক শহর বলে একটা সুনাম বরাবর ছিল। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে দিল্লির ন্যাশান্যাল ড্রামা অ্যাকাডেমির আঙ্গিকে এই নাট্যউৎকর্ষ কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় উদ্বোধনের পর আত্রেয়ী নদী দিয়ে একবছর জল গড়িয়ে গেলেও কোন নাটক নিয়ে চর্চা আর হয়ে ওঠেনি। তারপরেই আসে করোনা অতিমারির ঢেউ।জেলা প্রশাসন বাধ্য হয় এই কেন্দ্রটিকে হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে।
এমনিতেই কেন্দ্রটি শহরের এমন জায়গায় অবস্থিত যে সাংস্কৃতিক মানুষজন তো বটেই সাধারন মানুষজন ও যেতে বিশেষ আগ্রহ দেখায় না। যার ফলে সান্ধকালীন কোন সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ্য করবার কথা বালুরঘাট শহরের সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংস্থাগুলি কোন আগ্রহই দেখাতে চায় নি।
তাছাড়া এলাকাটি নির্জন ও জঙ্গলের আগাছায় চারিদিক ছেয়ে থাকায় অনেকেই ওই এলাকা এড়িয়ে চলে।
যার ফলে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই নাট্যচর্চা কেন্দ্রটি একদম অবহেলা ও অনাদরে পড়ে থেকে লোকচক্ষুর অন্তরালেই কেটে গেছে এই তিন বছরে।
যদিও, যার শেষ ভাল তার সব ভাল-এই প্রবাদ বাক্যটিকে মান্যতা দিয়েই অবশেষে জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলিকে নিয়ে এই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে নাট্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যমে তার প্রান সঞ্চার করে উঠতে।
ইতিমধ্যেই সাফাই করে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের পুরনো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার সব রকম প্রচেষ্টা শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিজিন কৃষনা।
এখন দেখার কবে থেকে এই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।