এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
মমতা ব্যানার্জ্জী মুখ্যমন্ত্রী হবার পর জোর দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর। সেই মত কোটি টাকা খরচ করে জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আছে দুটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অর্থ না লাগলেও, আনুষঙ্গিক বিষয়ে খরচের জন্য প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয় রোগী বা পরিজনদের। দূর থেকে আগত রোগীর পরিজনদের কোন কারণে আর্থিক সমস্যায় পড়লে টাকা তুলতে তাদের যেতে হয় প্রায় ২কিমি দূরে না হয় তাদের বাড়ি। গ্রাহকদের সুবিধার্থে যখন তখন টাকার প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংক গুলি গঙ্গারামপুরের শহরের যত্রতত্র এটিএম বুথ গড়লেও যেখানে দূরদূরান্তের মানুষ মূমুর্ষু রোগীকে নিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন, সেই গঙ্গারামপুর হাসপাতালে বা তার কম্পাউন্ডের ভিতর একটিও এটিএম বুথ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের।
রোগী ভর্তির পর তার চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে টাকার প্রয়োজন বেশি হয়ে থাকে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। কেননা মূমুর্ষু রোগী বা জরুরি চিকিৎসার জন্য দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রয়োজনে অনেকেই সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা নিয়ে আসতে পারেননা। আবার অনেকেই আজকাল বাড়িতে সংসার খরচ ও হাতখরচের টাকার অতিরিক্ত টাকা রাখতে চাননা। সে কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির পর কোন এটিএম বুথ না থাকায় তাদের ফের বাড়ি ছুটতে হয় টাকা নিয়ে আসবার জন্য।
এবার তাই গঙ্গারামপুর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে দ্রুত একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ খোলার দাবিতে সরব হল হাসপাতালে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। তাদের দাবি, রোগী নিয়ে আসা মানুষজনের এই দুর্ভোগ মেটাতে অবিলম্বে ব্যাংক গুলির উচিত মানবিকতার খাতিরে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে একটি এটিএম বুথ খোলার ব্যবস্থ্যা করা।