এনএফবি, আলিপুরদুয়ারঃ
কুখ্যাত চোরা শিকারি ও গন্ডার নিধনের অন্যতম মূল পান্ডা তথা সার্প শ্যুটার লেকেন বসুমাতারিকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করল জলদাপাড়া বন্যপ্রান শাখা ও আলিপুরদুয়ার জেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার জলদাপাড়াতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালো জলদাপাড়া অতিরিক্ত বন্যপ্রাণ আধিকারিক নবোজ্যোতি দে।
বুধবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের থার্ড কোর্টে পেশ করা হয় লোকেন বসুমাতারিকে। বনদপ্তরের দাবি ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে যতগুলি গন্ডার হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার সব গুলোর সঙ্গেই জড়িত ছিল ওই লেকেন বসুমাতারি ও তার সাকরেদরা। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে জলদাপাড়ায় যে শেষ বারের মতো একটি গন্ডার নিধনের ঘটনা ঘটেছিল তাতে লেকেন বসুমাতারির সরাসরি যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছিল বনদপ্তর। তাতে লেকেনের এক সাকরেদ ধরা পড়লে তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছিল গন্ডার হত্যায় ব্যবহৃত একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও বেশ কিছু তাজা কার্তুজ। যদিও সে যাত্রায় গন্ডারটির শৃঙ্গ কেটে নিয়ে চম্পট দিতে সক্ষম হয়েছিল লেকেন বসুমাতারি।
তদন্তে জানা যায় যে ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত লেকেন বসুমাতারি ও তার সাকরেদরা রাজ্যের দুই গন্ডার আবাস গরুমারা ও জলদাপাড়ায় একাধিক গন্ডার হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্য অসমে চোরা শিকারির ওই দলটি কাজিরাঙ্গা ও মানস জাতীয় উদ্যানে একাধিক গন্ডার হত্যার দায়ে অভিযুক্ত।ধৃত চোরা শিকারির বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে বনদফতর।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে নবোজ্যোতি দে, জানান দীর্ঘদিন থেকে জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্তারা এই মূল পাণ্ডাকে গ্ৰেফতার করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল অবশেষে ধরা পড়ে। কোথা থেকে ধরা হয়েছে সেটা এখনই তদন্তের স্বার্থে বলছেনা বনদফতরের আধিকারিকরা। তবে এর সাথে আরও অনেকে বন্যপ্রাণ দেহাংশ পাচারকারী যুক্ত আছে বলে বনদফতরের আধিকারিকরা অনুমান করছে।