জাতীয়ফিচার

নবীকরণ নিয়মের বিপাকে ১২ হাজার এনজিও, সামাজিক কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে-দাবি অক্সফ্যামের

এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ

নতুন বছরে ভারতে কাজ করা প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদান পাওয়া বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির মধ্যে তালিকায় আছে অক্সফাম ইণ্ডিয়া ও দ্য অক্সফাম ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, দ্য ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, দ্য লেপ্রোসি মিশন, দ্য টিউবারকিউলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইণ্ডিয়া, দ্য ইন্দিরা গান্ধি ন্যাশানাল সেন্টার ফর আর্টস এবং দ্য ইসলামিক কালচার সেন্টারের মতো সংস্থা।

আইন অনুযায়ী বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে এনজিও গুলির প্রয়োজন ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট(FCRA) অনুযায়ী লাইসেন্স নবীকরণ বাধ্যতামূলক। সেই লাইসেন্স নবীকরণের শেষ দিন ছিল ৩১ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়েছে,বকেয়া আবেদন নিয়ে এনজিওগুলিকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশের তোয়াক্কা করেনি। ফলে বিদেশি সাহায্য পাওয়ার যোগ্যতা তারা হারায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোটিশ


মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিদেশি সাহায্য বন্ধের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিষয়টি সকলের নজরে আসে। অক্সফাম ইণ্ডিয়ার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া তাঁরা পাননি বলেই জানিয়েছেন। অক্সফামের ভারত শাখার সিইও অমিতাভ বেহার বলেন, দারিদ্র দূরীকরণের কাজ করে আমাদের সংস্থা। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে প্রকৃত অভাবীদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই পদক্ষেপে সে কাজ ব্যহত হবে। বর্তমানে করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এফসিআরএ লাইসেন্স নবীকরণ না হওয়ায় ১৬টি রাজ্যে সামাজিক ও লোকহিতের কাজ ব্যহত হবে। করোনাকালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি, জীবনদায়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর এবং কোভিড আক্রান্তদের খাবার সরবরাহের কাজ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব মিলিয়ে মোট ১২ হাজার ৯৮৯টি সংস্থা তাদের লাইসেন্স নবীকরণের জন্য জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে। তারমধ্যে ১৭৯টি আবেদন পত্রপাঠ বাতিল হয়ে যায়। বাকিদের আবেদন পরীক্ষা করা হচ্ছে। শনিবারের আগে পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ৭৬২টি সংস্থার কাছে এই লাইসেন্স ছিল। শনিবার সেই সংখ্যাটি কমে হয় ১৬ হাজার ৮২৯। যার মধ্যে ৫ হাজার ৭৮৯টি সংস্থা নবীকরণের জন্য তাদের আবেদনই করেনি। এফসিআরএ তালিকা থেকে তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালে এফসিআরএ সংশোধন করে। আইন অনুযায়ী, সমস্ত নথি পরীক্ষা করে তবেই বিদেশী অনুদানের অনুমতি দেয় সরকার। তবে সংস্থা না চাইলে লাইসেন্স সমর্পন করার অনুমতি দেয়।