এনএফবি,কোচবিহারঃ
পুরসভা নির্বাচনে ছাপ্পা এবং বুথ দখলের অভিযোগ তুলে ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। রবিবার বাংলার ১০৮ টি পুরসভায় ভোট হয়। ভোটের দিন সকাল থেকে রাজ্যের বিরোধী দলের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের মারধর, এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, ইভিএম ভাঙচুর এবং বোমাবাজি করা সহ একাধিক অভিযোগ এনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানায় বিজেপি। কিন্তু তার পরেই আচমকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি। পাশাপাশি বাংলা জুড়ে এই বনধ পালন করার জন্য দলীয় কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দেন বিজেপি। সেই অনুযায়ী সোমবার সকাল ছ’টা থেকে জেলায় জেলায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে পথে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এতে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এমতাবস্থায় কোচবিহারে বনধে যাতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে তা সরেজমিনে ক্ষতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়। এদিন তিনি কোচবিহারের বিভিন্ন বাস ডিপোতে যান। সেখানে বাস চালকদের ও সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করেন এবং ভয় না পেয়ে বাস চালকদের নির্বিঘ্নে কাজে যোগ দিতে বলেন। জানা গেছে, বনধের দিনে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের মোট ৫৬১ টি বাস রাস্তায় নেমেছে যাত্রী পরিষেবা দিতে ৷ অন্যান্য দিনের থেকে ২৪টি অতিরিক্ত বাস এদিন চালানো হয়েছে বলে ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “আমাদের বাস পরিষেবা ঠিক মতই চলছে। প্রতিদিন যেখানে ৫৩৭ টি বাস চলে আজ সেখানে ৫৬১টি বাস চলছে। কোন জায়গায় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিক যাত্রী পরিষেবা চলছে। অন্য দিনের তুলনায় বেসরকারি বাস কম। তাই আজ আমরা অতিরিক্ত ২৪টি সরকারি বাস নামিয়েছি। গতকাল রাতে মালদা থেকে একটি গাড়ি মালবাজার আসছিল। সেই সময় ডালখোলার কাছে বাসটির পেছনের অংশে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা জিডি করেছি। বাসটিকে মালবাজার নিয়ে আসা হয়েছে।এছাড়া স্বাভাবিক পরিষেবা চলছে। আমাদের সকল ড্রাইভার, কর্মচারী নিষ্ঠার সাথে বাস পরিষেবা চালু রেখেছেন। বিরোধীদের ডাকা বনধ একেবারেই সফল হয়নি সেটা আজকের যাত্রী সংখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এটা আসলে গতকালের ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপির মুখ ঢাকার একটি কৌশল মাত্র।”