এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে চারিদিকে রাজ্যের নানান প্রকল্পের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। এরই মাঝে পথশ্রী প্রকল্প ঘটা করে উদ্বোধন হলেও ভাগ্য ফিরল না তপন ব্লকের শিবরামপুর এলাকার। শুধু রাস্তা নয় পানীয় জল থেকে শৌচালয় কিছুই হয়নি ওই গ্রামে। আর এই বিষয় নিয়েই ক্ষোভ এলাকার বিধায়ক থেকে গ্রামবাসী সকলের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিবরামপুর গ্রামের শিবমন্দির থেকে বাথখোলা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি রাস্তা দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বেহাল হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদের তরফ থেকে সেই রাস্তা চলাচলের যোগ্য করে তোলার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বারবার তাদের কাছে দাবি জানিয়েও কোন সুফল পায়নি গ্রামের বাসিন্দারা এমনটাই তারা জানিয়েছেন।
অথচ এই রাস্তার ধরেই বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য নির্ভর করতে হয় বলে জানা গেছে।
গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা বিজেপির নেতা বুধরাই টুডু। তিনি নিজে গিয়ে বেহাল রাস্তার দশা দেখে এসেছেন বলে জানান। যার ফলে বর্ষার সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের।
তিনি জানান, এই সব রাস্তা করার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের হলেও তারা সে কাজ করেনি। অথচ তিনি নিজে বিধানসভায় পূর্ত মন্ত্রীকে তপনের রাস্তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি এবার জুন মাসে বিধানসভাতে তিনি ফের এই প্রশ্ন তুলবেন বলে জানান। পাশাপাশি তার দাবি একান্তই যদি রাজ্য রাস্তা না করে তাহলে তিনি নিজে ও সংসদের তহবিল থেকে রাস্তার কাজ করে দেবেন।এর পাশাপাশি গ্রামে পানীয় জল না পৌঁছানোয় ক্ষোভ বাসিন্দা থেকে বিধায়কের।
বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প দ্রুত এগোচ্ছে বলে সম্প্রতি বারবারই দাবি করেছে রাজ্য। অথচ তা কতটা বাস্তবায়িত তা তপনের এইসব গ্রামগুলিতে ঘুরলে অতি সহজেই বোঝা যায়। এখনও পানীয় জল আনতে কয়েক মাইল হেঁটে যেতে হয় গ্রামবাসীদের। যারা দূর থেকে জল আনতে পারেন না, তারা পুকুরের নোংরা জল খেতে বাধ্য হন। অথচ ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের নাম পালটে গালভরা ‘জলস্বপ্ন’ নাম দিয়ে দাবি করা হচ্ছে ২০২৪ এর মধ্যে সব বাড়িতেই নলবাহিত পরিশ্রুত জল পৌঁছে যাবে।
তাই ২০২৪ কেন শিবারামপুর কেন তপন জুড়েই চলা জল সংকট ও বেহাল রাস্তার দশা ও নির্মল মিশনের আওতায় আসা সম্ভবপর নয় বলে অধিকাংশ গ্রামবাসীর ধারনা।