মোহনবাগান সভাপতি হিসেবে সুব্রত ভট্টাচাৰ্যকে চান প্রসূন

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে গঠিত হয়েছে নতুন কমিটি। আর নতুন কমিটি ক্ষমতায় এসে ক্লাবকে আরও উন্নত করতে বদ্ধপরিকর। এদিন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার তথা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্লাব থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। প্রসূন ক্লাবের উন্নয়নে দশ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন। এদিন প্রসূন মিট the প্রেসে অংশও নিলেন। প্রসূন জানালেন এক থেকে পনেরো অক্টোবর যে ময়দান বন্ধ রাখা হয় সেই কারণে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দেন সেই সময় যাতে ময়দান সচল রাখা হয় উত্তরে রাজনাথ নাকি জানান, ওই সময় ময়দানের ঘাস বাঁচানো বেশি জরুরি। এরপরেই খেলাধুলায় রাজনীতিকরণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। উঠে এলো কলকাতা ময়দানের বর্তমান পরিস্তিতির কথাও ।

দীর্ঘদিন মোহনবাগান ক্লাবে কোনো সভাপতি নেই। সভাপতি ছাড়াই হলো ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা। প্রসূন জানালেন,” কেন হচ্ছে না জানি না । এখুনি সুব্রত ভট্টাচাৰ্য্যকে ক্লাবের সভাপতি করা হোক। মোহনবাগান অন্ত প্রাণ বাবলু। ওপার বাংলার লোক হলেও ওর রক্তে মোহনবাগান। আমি চাই সুব্রতকে সভাপতি করা হোক ক্লাবের উন্নতি হবে। কতবার বলেছি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তকে প্রাক্তন প্লেয়ারদের নিয়ে একটা কমিটি হোক শোনে না আমার কথা। আমি জানি না সৃঞ্জয় কেন পদত্যাগ করলো সচিব পদ থেকে! কোনো চাপ ছিল নাকি সেটাও জানি না। ওর বাবা টুটু বসুর ক্লাবের প্রতি অবদান আছে। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে এতদিন টিম করেছে।ওদের মোহনবাগানে না থাকা মানা যায় না।

এটিকে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কর্পোরেট দুনিয়ার প্রয়োজন আছে ফুটবলে। সেই সঙ্গে আবেগের কথাও মাথায় রাখতে হবে। মোহনবাগান আমার মা। আর নিজের মায়ের নামে অন্য কোনো ফুটবল দলের নাম আমি মেনে নিতে পারি না। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এতকিছু ব্যবসার জিনিস আছে তার মধ্যে কোনো কিছু রাখা হোক ।

ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টর প্রসঙ্গে তার মত, ” মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল ছাড়া বাংলার ফুটবল হয় না। আগের বার যখন স্পনসর পায়নি আমি চিঠি দিই নীতা আম্বানিকে। যাতে কিছুদিন ইস্টবেঙ্গলের জন্য অপেক্ষা করে। এফএসডিএল সেটা করে আর আইএসএলে মাঠেও নামে ইস্টবেঙ্গল। মমতা দি সাহায্য করছে দরকার হলে ইনভেস্টর ইস্যুতে আমাকে বলুক আমিও থাকবো পাশে। “

সন্তোষ ট্রফির টেলিকাস্ট না হওয়ায় প্রসূন জানান, “কতটা লজ্জার বিষয় সন্তোষ ট্রফির মত একটা প্রাচীন টুর্নামেন্ট সম্প্রচার হচ্ছে না। আমাদের প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জা লাগে। ফেডারেশন কর্তাদের লাগে না! কত মানুষ মোবাইলে খেলা দেখলো আর কত মানুষ পারল না। সবার কাছে স্মার্ট ফোন আছে! আমার ফোনে তো নেট বিঘ্নিত হচ্ছিলো। মানুষ চেয়েও ভালোভাবে ফুটবল উপহার দেখতে পারলো না। বছরে একটা আইএসএল টুর্নামেন্ট শুধু আই লিগ কীভাবে হচ্ছে আমরা সবাই দেখছি। সব বড়বড় টুর্নামেন্ট, জুনিয়র টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে । এই মুহূর্তে ফেডারেশন কর্তারা পদত্যাগ করে সেখানে সুব্রত ভট্টাচাৰ্য্য, শিশির ঘোষদের মত মানুষদের বসাক। আমি বলছি না যে আমি বসবো কারণ আমি রাজনীতির লোক এখন। প্রাক্তন ফুটবলারদের বসাক ফেডারেশনের মাথায় তাহলেই ফুটবলের উন্নতি হবে।” এদিন কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের বাইরে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরাও দেখা করেন প্রসূনের সঙ্গে। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন হাওড়ার সাংসদ।