এনএফবি, কলকাতাঃ
কার দখলে ছোট লালবাড়ি- জনতার রায়ে আজ তা নির্ধারিত হবে। ভোট গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে কলকাতা থাকছে রাজ্যের শাসক তৃণমূলের দখলে।
ব্যালট ও প্রথম রাউন্ডের গণনায় শুরু থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে এগিয়ে শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থীরা। ফলাফলের গণনা অনুযায়ী ১৬ ওয়ার্ডেই এগিয়ে তৃণমূল।
১১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে অতীন ঘোষ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে অনিন্দ্য রাউত। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে জুঁই বিশ্বাস। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ফিরহাদ হাকিম। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে দেবাশিস কুমার। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে পরেশ পাল। ২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে কাকলি সেন। ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রাম পেয়ারি রাম। ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে মালা রায়। ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে জীবন সাহা।
৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বাম প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপির সজল ঘোষ। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত।
কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হবে সাড়ে ৯০০ প্রার্থীর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১১টি কেন্দ্রে ভোটগণনা চলছে। ১১ থেকে ১৬ দফায় ভোট গণনা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ৭-১০টি টেবলে গণনা। ভোট গণনার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার।
প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি ১৪৪ ধারা। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন মোট ৩ হাজার পুলিশকর্মী। প্রতি কেন্দ্রেই মোতায়েন একাধিক ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। রয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড এবং রিজার্ভ পুলিশ। নজরদারি চলছে ড্রোনের মাধ্যমেও। বিজয় মিছিল নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
২০১৫ সালের কলকাতা পুরনিগমের ভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল। বামেদের দখলে ছিল ১৫, বিজেপি ৭, কংগ্রেস ৫টি ওয়ার্ড। এছাড়া ৩টি জিতেছিল অন্যেরা।