অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
এটিকে মোহনবাগান ছাড়লেও নস্টালজিয়া যেন ছাড়ছে না প্রবীর দাসের। সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসিতে সই করেছেন প্রবীর । এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে নিজের মোহনবাগানে খেলার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন প্রবীর । যে ছবি তাকে এটিকে মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব উপহার দিয়েছে। প্রবীর বলেন,” এটিকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এতো সুন্দর ছবি উপহার দেওয়ার জন্য। এভাবে ফুটবলারদের সাপোর্ট করো ফুটবলারদের পাশে থেক। তোমরা আমার হৃদয়ে থাকবে লাভ ইউ অল।”
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর কলকাতার ক্লাবে খেলার পর এ বার তিনি চলে যাচ্ছেন নিজের শহর থেকে অনেক দূরে, বেঙ্গালুরুতে। আগামী মরশুমে প্রবীর দাস-কে দেখা যাবে বেঙ্গালুরু এফসি-র জার্সি গায়ে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে মাঠে নামতে। ভারতীয় ফুটবলের সেরা তারকার সঙ্গে খেলতে নামার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে সোদপুরের প্রবীরের, যাঁকে ভালবাসেন সারা বাংলার অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী।
অগুনতি সমর্থকের কাছ থেকে যেমন সীমাহীন ভালবাসা পেয়েছেন, তেমনই কলকাতার দলের সতীর্থদের কাছ থেকেও পেয়েছেন প্রচুর স্নেহ ও সম্মান। এ সব ছেড়ে ভিনরাজ্যে যেতে খারাপ লাগলেও বেঙ্গালুরুতে নতুন মোটিভেশনের খোঁজ পেয়েছেন প্রবীর। প্রবীর যুবভারতীতে এএফসি কাপ বাগানকে খেলেই বিদায় জানান। এরপরে তিনি জানান,”খারাপ লাগছে পরিবারকে ছেড়ে দূরে থাকতে হবে। তবে পেশাদার হতে গেলে এটা মেনে নিতেই হবে। বেঙ্গালুরু এফসি-তে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। এখন ওদের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে ভাল পারফরম্যান্স দেখানোর জ্ন্য মুখিয়ে রয়েছি।”
প্রথমে মোহনবাগান পরে এটিকে মোহনবাগানের জার্সি পরেন তিনি। তাই তিনি জানিয়েছিলেন,”মোহনবাগান আমার কাছে সবচেয়ে স্মরণীয়। কারণ, যে সময়ে মোহনবাগানে যোগ দিই, তখন অন্য কোনও ক্লাব আমাকে ডাকেনি। তখন থেকেই আমার ভাল পারফরম্যান্স করা শুরু হয়। সে বার আমাদের দল ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যদিও আমি খেলতে পারিনি। তার পরে এটিকে-তে গিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যখন শুনলাম এটিকে আর মোহনবাগান এক হয়ে যাচ্ছে এবং আবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে মামতে পারব। সে ছিল আরও একটা স্মরণীয় ঘটনা। খুব উত্তেজিত ছিলাম, নতুন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে দেওয়ার জন্য। বহু বছর পরে প্রথমবার তা পরার পরে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল, খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। তবে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আফসোসটা রয়েই গেল। ফাইনালে উঠেও হেরে যাই আমরা। যদি একবার অন্তত দলকে চ্যাম্পিয়ন করে অন্য ক্লাবে যেতে পারতাম, তা হলে সমর্থকদের জন্য ভাল লাগত। ওদের জন্য কিছু করে যেতে পারার তৃপ্তিটা থাকত।”