মনোদীপ ব্যানার্জী, মুর্শিদাবাদঃ
রাঢ় বাংলার বড় উৎসব নবান্ন। অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে নতুন ধানের আবাহনেই নবান্নের সূচনা। বর্তমানে জমি কমেছে, তবুও ছেদ পড়েনি এই গ্রামীণ উৎসবে। আগে গান বাজনার আসর বসতো গ্রামে, নানান পদের খাবার খেয়ে কৃষক পরিবারের স্ত্রী – পুরুষ সবাই মজে থাকতো সেই উৎসবে। তবে এখন কাজের মধ্যে দিয়েই নবান্ন উৎসব পালন হয়। বাংলার চলতি মাসের ২১ তারিখ নবান্ন হয়েছে, আবার এই মাসেরই শেষ দিনে নবান্ন হবে গ্রাম জুড়ে, বললেন নবগ্রামের সনাতন প্রধান।
মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ব্লকের বহুবাড়ির আর্থিক অবস্থা নির্ভর করে চাষ আবাদের উপর। জাওয়াদের আশঙ্কায় অনেক চাষীই আমন ধান কেটে ঘরে তুলে নিয়েছিল। কেউ কেউ এখনও কাটছে। তবে জাওয়াদের থেকেও ধান চাষে তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ধ্বসা রোগ।
সরকার ধান কিনছে কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা দরে। আড়তে সেই ধানই ১৩০০ টাকা কুইন্টাল দরে বিক্রি হয়। সরকারের ঘরে ধান বিক্রি করলে অনেকটাই লাভ হয় চাষীদের। সরকারকে ধান বিক্রি করলে উঠছে খরচের অংশও।
ইলেকট্রিক বিলের খরচ বেড়েছে, বেড়েছে সারের দাম। ফলেই জমিতে ধান চাষ কমিয়েছে মুকুল দাসের মতো বহু কৃষক পরিবারের সদস্য। বদলে আলু, মুসুর সহ মরসুমি আনাজ চাষ করছেন অনেকেই। তবে এত কিছুর মাঝেও কোনো প্রভাব পড়েনি নবান্ন উৎসবে। গোবর নিকোনো মাটির অঙ্গনে দেওয়া আলপনা তারই প্রমাণ।