অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
করোনা ভাইরাসের হানায় আগেই স্থগিত হয়ে গেছে বাংলায় হওয়া আইলিগ। এবার করোনার প্রকোপ থেকে রেহাই পেলনা সন্তোষ ট্রফিও। করোনার জেরে স্থগিত করা হল ৭৫তম সন্তোষ ট্রফির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রাউন্ড। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ফাইনাল রাউন্ডের ১০টি দলকে চিঠি দিয়ে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়।
ফাইনাল রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করা ১০টি দলকে দেওয়া চিঠিতে এআইএফএফ-এর সাধারণ সচিব কুশল দাস লিখেছেন, “করোনা পজিটিভ কেস বৃদ্ধির কারণে, এআইএফএফ কেরালা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিযোগিতার সূচি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এআইএফএফের তরফে ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণকারী সকল রাজ্য সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়ে গিয়েছে।’’ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে ফুটবল ফেডারেশন। এই সিদ্ধান্ত বেশ বিস্ময়কর কারণ, করোনার মধ্যেই গোয়ায় আয়োজিত হচ্ছে আইএসএল। প্রতিনিয়তই সেখানে ভিন্ন ভিন্ন দলের সদস্যদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার হদিশ মিলছে। তা সত্ত্বেও চালু দেশের সর্বোচ্চ লিগ। এদিকে পিছিয়ে দেওয়া হল সন্তোষ ট্রফি। ফেডারেশন কর্তাদের এই মনোভাব নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ চলতি সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল রাউন্ড আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল কেরালার মালাপ্পুরামে। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতির পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং তারপরেই পুনঃনির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করা হবে।
কল্যাণীতে খেলে যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলা দল। বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য হতাশার সুরে জানান, “ছেলেদের বলেছিলাম নিজেরা অনুশীলন করতে। রাজ্যের বিধিনিষেধ মিটে গেলে দল নিয়ে মাঠে নামতাম। দলটা একটা জায়গায় তৈরী হয়েছিল। গতবার হল না। এবারও স্থগিত। হবে কিনা জানি না! জুনিয়র ফুটবলারদের জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল এটুকু বলতে পারি। দেখা যাক কী হয়! ফেডারেশন কী উত্তর দেয়! সেদিকেই তাকিয়ে আছি।” হতাশ বাংলা ও মহামেডান গোলকিপার প্রিয়ন্থ সিংও। তিনি জানান, “গত দুই বছর ধরে খেলা সেভাবে হচ্ছে না। আইলিগ স্থগিত। ভেবেছিলাম সন্তোষে মাঠে নামব। কিন্তু জানি না সুযোগ আসবে কিনা! শেষ বার পাঁচ বছর আগে সন্তোষ জেতে বাংলা দল।”
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যোগ্যতা অর্জনকারী ১০ টি দলের মধ্যে কে কোন গ্রুপে রয়েছেঃ
গ্রুপ এঃ
পাঞ্জাব, মেঘালয়, রাজস্থান, বাংলা ও কেরালা।
গ্রুপ বিঃ
সার্ভিসেস, মনিপুর, কর্নাটক, ওড়িশা ও গুজরাট।