অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
সিএবি নির্বাচন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিলেন না মহারাজ। নতুন সভাপতি হলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বিরোধী গোষ্ঠীর কেউ মনোনয়ন দিলেন না। ফলে শাসক গোষ্ঠীর প্যানেলই আগামী ৩১ অক্টোবর সিএবির বার্ষিক সাধারণসভায় নির্বাচিত হবেন।
সিএবির শাসকগোষ্ঠীর প্যানেলঃ
সভাপতি- স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
সহ সভাপতি-অমলেন্দু বিশ্বাস
সচিব-নরেশ ওঝা
যুগ্ম সচিব-দেবব্রত দাস
কোষাধ্যক্ষ-প্রবীর চক্রবর্তী সহ সভাপতি -অমলেন্দু বিশ্বাস।
এদিন সিএবিতে দুপুর ১টার সময় আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর ম্যারাথন বৈঠক করেন দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আর বিদায়ী সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া-সহ বাকি কর্তাদের সঙ্গে।
কী কারণে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন না সৌরভ? একে তো ইলেকশন না হলে নির্বাচনে দাঁড়াবেন না সেটা বড় কারণ। সৌরভ নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সিএবির বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন সিএবিতে ২০১৫ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ধরে আর ২০১৯ সালে বিসিসিআইতে অমিত শাহর ভোটে দুবারই সিলেকশনে আসেন তাই এবার ইলেকশনে জিতে সিএবি সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় নির্বাচন হল না, তাই সৌরভও নেই নির্বাচনে। এই সিদ্ধান্ত তো আছেই তারপর প্রশাসক সৌরভ লোধার নিয়মে যদি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় মনোনয়ন জমা করেন, তা হলে আগের ছ’বছর ও এবারের তিন বছর মিলিয়ে মোট ন’বছর সিএবির প্রশাসনিক পদে থেকে যাবেন। যার ফলে আগামী দিনে কুলিং-অফ না নিয়ে আর সিএবির প্রশাসনে আসতে পারবেন না। ফলে বোর্ডে আবার ফিরতে হলে, এই অস্ত্র এখনই ব্যবহার করবেন না মহারাজ ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের না থাকা নিয়ে তার দাদা স্নেহাশিস জানালেন, সৌরভ যখন বলেছিল যে সিএবি নির্বাচনে দাঁড়াবে তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল। আর বিরোধী তো নেই। গত শনিবার সৌরভ সিদ্ধান্ত পাল্টায় কেন পাল্টায় সেটা সৌরভই বলতে পারবে। আর সৌরভ গাঙ্গুলী ছাড়া বাংলার ক্রিকেট ভাবা যায় না। সৌরভ ছিল আছে থাকবে বাংলার ক্রিকেটের জন্য ওকে সবসময় পাশে পাবো।’
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে নতুন সভাপতি স্নেহাশিস জানালেন, ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য ইডেনের ক্লাব হাউস আরও অত্যাধুনিক করাই আমার পরিকল্পনা। আমরা অনেকটা কাজ করেছি আমি যখন সিএবিতে সচিব হিসেবে আসি তারপরই কোভিড চলে আসে তবুও আমরা কাজ করেছি। প্লেয়ারদের টিকাকরণ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ। বাংলা দলও ভালো খেলছে।