এনএফবি,ঝাড়গ্রাম
বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্ন থেকে সাত জনের বিশেষ প্রতিনিধি দল হানা দিল ঝাড়গ্রাম বাজারে । বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে গুরুত্বপূর্ণ বাজার জুবলি মার্কেট , কোর্ট রোড চত্বরের বাজার, ফল মার্কেট , সবজি মার্কেট ও মাছ মার্কেটে অভিযান চালায় নবান্ন থেকে আসা ইনফরমেন ব্রাঞ্চ দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধিরা ।
ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন সংলগ্ন সবজি বাজার থেকে অভিযান শুরু করেন তারা । সবজি মার্কেটে আলু, পেঁয়াজ কি দামে বিক্রি হচ্ছে ,কত দরে পাইকারি বাজার চলছে এইসব খতিয়ে দেখেন তারা । ঝাড়গ্রামের নদী সংলগ্ন এলাকা গুলিতে প্রচুর সবজি চাষ হওয়া সত্ত্বেও ঝাড়গ্রামে সবজির দাম কেন এত বেশি সেই বিষয়ে দোকানদারদের প্রশ্ন করেন বিশেষ প্রতিনিধি দল । এক সবজি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করেন বিনস ও ক্যাপসিকাম এর দাম এত বেশি কেন । উত্তরে ঐ সবজি বিক্রেতা বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানান এই দুটি বাইরে থেকে আমদানি করা হয় তাই দাম বেশি । ঝাড়গ্রামের অধিকাংশ সবজি পাঁশকুড়ার উপর নির্ভরশীল তাই পাঁশকুড়ার বাজার যে দামে চলে তার উপরে ঝাড়গ্রামের বাজার নির্ভর করে । ঝাড়গ্রাম সবজি বাজারের সেক্রেটারি বিজয় যাদব বলেন, “বর্তমান সময়ে তেলের দাম বেড়েছে তাই পরিবহন ভাড়া বাড়ায় সবজির দামও বেড়েছে । আমাদের এখানকার স্থানীয় চাষিরা যে দামে এখানে সবজি নিয়ে আসে তার উপরেই নির্ভর করে এখানকার বাজারের দর । কিন্তু অনেক সবজি রয়েছে যা পাঁশকুড়ার উপর নির্ভর করতে হয় । তাই পরিবহন ভাড়া বাড়ার ফলে জিনিসের দাম বেড়েছে “। সবজি বাজারের পর হানা দেয় মাছের বাজারে । মাছের দাম শুনে আধিকারিকরা ব্যবসায়ী কে জিজ্ঞাসা করেন এত দাম কেন ? মাছ ব্যবসায়ী জানান যে দামে পাইকারি হচ্ছে তার উপরেই আমাদের ব্যবসা । পরিবহন ভাড়া বেড়েছে তাই মাছের দামও বেড়েছে । মাছ বাজার থেকে বেরিয়ে ফলের বাজার ও ভূষিমাল দ্রব্যর বাজারগুলিতে বাজার দর যাচাই করেন বিশেষ প্রতিনিধি দল । অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এর ডিএসপি জয়ন্ত মুখার্জি । এদিন তিনি বলেন , ” আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন । সেই অভিযোগ পেয়ে আমরা কলকাতা থেকে এসেছি । আমরা ঝাড়গ্রামের ইবি দপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখানে অভিযান চালাচ্ছি । “
আরও পড়ুনঃ মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য
তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য, সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারের মূল্য বৃদ্ধি করছে তাদের চিহ্নিত করা । বিভিন্ন বাজারের সঙ্গে আমরা জিনিসের দাম তুলনা করে দেখছি এবং বাজার কমিটির যারা দায়িত্বে রয়েছে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি । বাজার কমিটিকে জানানো হয়েছে যে বাজারের উপর দামের নিয়ন্ত্রণ রাখতে । তা না হলে আমরা ভবিষ্যতে আবার গোপনে অভিযান চালাবো এবং আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব । আর সারাদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হবে ।”