অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু আর বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে অনেক চৰ্চা হয়েছে। এমনকী এটিকে সরানোর বিষয়ে দেবাশিস তোপ দাগেন যে আগের কমিটির কাছে এটিকে সরানো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না কিন্তু তার কমিটির কাছে এটিকে সরানো প্রাধান্য পাচ্ছে। এরপরে সৃঞ্জয় বর্তমান সচিব দেবাশিসের উদ্দেশ্যে বলেন,’বর্তমান সচিব তখন অর্থসচিব ছিলেন উনারও সই ছিল এগ্রীমেন্টে।’ এটিকে প্রসঙ্গতে দুজনের মতামত স্পষ্ট। তবে কলকাতা লিগে মোহনবাগানের না খেলার প্রসঙ্গতে কার্যত বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তর হয়েই ব্যাট ধরলেন সৃঞ্জয়। এদিন তিনি জানালেন,”নিশ্চয়ই মোহনবাগানের কলকাতা লিগে মাঠে নামা উচিত ছিল। কিন্তু কী করা যাবে এতো বড় এএফসি কাপ গত বারেও ছিল এবারেও আছে এএফসি টুর্নামেন্ট তো আর বারবার আসবে না। তাছাড়া এবার ডুরান্ড কাপ আসছে এবার আইএসএল আর আই লিগের দলগুলোকে নিয়ে ডুরান্ড হবে লম্বা সূচি। আইএফএর তো আগে থেকে সূচি তৈরী করা উচিত ছিল। ওদের তখন সমস্যা ছিল আর ক্লাবদের সমস্যা তো আইএফএকে বুঝতে হবে।” কলকাতা লিগে কি মোহনবাগান দ্বিতীয় সারির দল নামাতে পারে না। এরপরেই সৃঞ্জয় বলেন,” মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল কোনো টুর্নামেন্টে হারার জন্য নামে না। ইস্টবেঙ্গল চুক্তি সই করতে পারেনি এটা ওদের সমস্যা ওরা বলতে পারবে। কিন্তু মোহনবাগান যদি দ্বিতীয় সারির দল নামিয়ে বড় ব্যবধানে হেরে যায় ইতিহসে কিন্তু লেখা থাকবে না যে মোহনবাগানের দ্বিতীয় সারির দল খেলেছিল। সেই কারণে ব্যাপারটা বুঝতে হবে।”
যদিও আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত এদিন জানিয়ে গেলেন,” প্রিমিয়ার লিগের দল গুলোকে নিয়ে বসবো আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে। আমরা ফরম্যাট ঠিক করব। ইস্টবেঙ্গল -মোহনবাগান সবাই লিগে খেলবে আশা রাখছি। মোহনবাগানের বকেয়া বিষয়টা দেখার জন্য আমরা দুজন আইএফএর সহ সভাপতি সৌরভ পাল আর স্বরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করছি রাস্তা বেরোবে।” একইসঙ্গে প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি জানালেন,” ইস্টবেঙ্গল -মোহনবাগান সবারই কলকাতা লিগে খেলা উচিত বাংলার সাপোর্টাররা সবাই বাইরে যেতে পারে না। কলকাতাতে থেকেই প্রিয় দলকে সমর্থন করে আর কলকাতা লিগই হচ্ছে তরুণ ফুটবলার ওঠার সাপ্লাই লাইন। সেই কারণে সবারই লিগে খেলা উচিত বলে আমি মনে করি।”