বিরতিতে ছেলেদের বলে লাভ হয়নি আক্ষেপ স্টিফেনের

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

লজ্জার হার। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে বিরতিতে এগিয়ে থেকেও শুক্রবার যুবভারতীতে দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল খেয়ে ৪-২ গোলে হারতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ লাল হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। এ দিন ম্যাচের শেষে স্টিফেন জানালেন, “বিরতির সময়ে আমি ছেলেদের বলেছিলাম, স্কোর কী, তা ভুলে যাও। কারণ, ওরা আক্রমণে আরও খেলোয়াড় আনবে আর দ্রুত গোল শোধ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা পুরোপুরি সুইচ অফ করে দিল। স্কুলের ছেলেদের মতো ভুল করতে শুরু করল। ওদের খেলোয়াড়দের অরক্ষিত অবস্থায় ছেড়ে রাখল। ওদের ভাল ভাল খেলোয়াড় আছে। তারাই আমাদের ভুলের শাস্তি দিল। এই ধরনের ভুল স্কুলের ছেলেরাও করে না। দ্বিতীয়ার্ধের এই পারফরম্যান্সের জন্য খেলোয়াড়দের হয়ে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটা ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে মোটেই ভাল হল না। বেঙ্গালুরুতে ৯০ মিনিট ভাল খেলে জিতে আসার পর এ রকম একটা পারফরম্যান্স অপ্রত্যাশিত। ওই ম্যাচের পর ওড়িশার মতো ভাল দলের বিরুদ্ধে ৪৫ মিনিট এত ভাল খেলে দু’গোলে এগিয়ে গেলাম আমরা। এর পরে দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে পরপর দু’গোল খাওয়াটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। দলের কয়েকজন খেলোয়াড় বোধহয় ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল, ম্যাচটা শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও বিরতিতে ছেলেদের বলে দিয়েছিলাম ফল নিয়ে ভেবো না, ধরে নাও গোলশূন্য এবং আমাদের আরও একটা গোল করতেই হবে। বিরতিতে খেলোয়াড় পরিবর্তন করার কথাও মনে হয়নি। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু যেটা আগেই বললাম, হঠাৎ আমাদের ছেলেরা যেন সুইচ অফ করে বসে রইল এবং তারই শাস্তি পেতে হল আমাদের।”

চ্যারিস কিরিয়াকুর চোট পাওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্স করে মাঠ ছাড়তে হয়। তার অবস্থা নিয়ে স্টিফেন জানালেন, “ও আপাতত হাসপাতালে রয়েছে। ভ্রু-র ওপর সেলাই করতে হয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তাররা এমআরআই-ও করতে বলেছেন। আশা করি, ও দ্রুত সেরে উঠবে। ওর চোটটাও আমাদের ক্ষতি করল।”

এদিকে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানালেন, “২ গোলে এগিয়ে থেকে গোল ধরে রাখা ফুটবলারদের ধর্ম। সেটা না পারলে কোচই বা কী করবে আর মাঠের বাইরে থাকা লোকেরাও কী করবে! পেশাদার ফুটবলার ওদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। জানুয়ারি উইন্ডোতে নতুন ফুটবলার আনতে হবে।”