অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
এফ সি গোয়ার থেকে এটিকে মোহনবাগানের হেড স্যার হয়ে দলের ছেলেদের নিয়ে একদিনও কাজ করার সুযোগ পাননি, তবুও তাতেই বাজিমাত। নর্থ ইস্টকে হারিয়ে জুয়ান ফেরান্দর কোচিংয়ে জয়ে ফিরল এটিকে মোহনবাগান। স্বাভাবিক ভাবে উচ্ছ্বসিত জুয়ান। তাকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন উত্তর দিলেন! খেলা শুরুর আগে নতুন দলের ছেলেদের কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ মূলত কৌশলের কথা বলি। কী করে জায়গা তৈরি করতে হবে, কী করে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। মূলত কৌশল নিয়েই কথা হয়। কারণ, দলের ছেলেদের সঙ্গে এখনও কাজ করার সুযোগ হয়নি।
দলটার ভারসাম্য আপনি আগেই দেখেছেন। প্রাক্তন কোচের ভিন্ন দর্শন ছিল। আপনার হাতে বড় কিছু পরিবর্তন আনার সময়ও ছিল না। তা হলে পরিবর্তনটা কী করে আনলেন?
উত্তরঃ এই ম্যাচে কৌশলের চেয়ে মানসিক লড়াই-ই বেশি ছিল। সদ্য কোচ বদল হয়েছে। ছেলেরা আমার সম্পর্কে অল্পস্বল্প জানে। আমি বিপক্ষকে চাপে রেখে পজেশনাল অ্যাটাকে বেশি যেতে বলি দলকে, ওরা জানে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবে যে খেলাটা খেলা দরকার ছিল, সেটা ওরা খেলার চেষ্টা করেছে। যদিও পজেশন, অ্যাটাকে কিছু ভুল হয়েছে। আশা করি যত দিন যাবে দলের ফুটবলারদের এই স্টাইলটা আরও পছন্দ হবে এবং দল হিসেবে ওরা আরও উন্নতি করবে।
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন? ইতিবাচক কী দেখলেন? কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার বলে মনে করেন?
উত্তরঃ দলের স্পিরিট খুব ভাল জায়গায় আছে। যেটা দল হিসেবে ভাল খেলতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন দলের খেলোয়াড়রা কতটা ভাল খেলতে পারে। আসলে বেশি কাজ করার সময় নেই এখন। কখনও সপ্তাহে একটা, কখনও দুটো ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। তাই কৌশল নিয়ে বেশি কাজ করার সুযোগ কমই পাওয়া যাবে।
দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের স্তর আপনার কেমন লাগল। জনি কাউকো, ডেভিড উইলিয়ামসদের পরে নামালেন। কী ভাবে এদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাবেন বলে ঠিক করেছেন?
উত্তরঃ সত্যি বলতে, আমার স্বাভাবিক ফুটবল-বুদ্ধি দিয়েই আজকের ম্যাচের লাইন-আপটা তৈরি করেছিলাম। কাল থেকে নতুন অধ্যায় শুরু হবে। কাল থেকে ফুটবলারদের নতুন করে শুরু করতে হবে। তার পরে দেখা যাবে কী হয়। ওদের সঙ্গে কাজ করা শুরু করলে বোঝা যাবে ভবিষ্যতে কী হবে, কী রকম কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোব, তার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ। দলে ২৭ জন ফুটবলার রয়েছে যখন, তখন খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে হয়না।