এনএফবি ডেস্ক, নয়া দিল্লিঃ
প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে সচেতন করলেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে বিশেষ একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা বলেন, “দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের লক্ষ্মণরেখার কথা মনে রাখা উচিত।”
শনিবার এই সম্মলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে বক্তৃতায় মোদী দেশের আদালতগুলিতে স্থানীয় ভাষাগুলির অগ্রাধিকারের ব্যাপারে সওয়াল করেছেন। এদিন মোদী বলেন, “আদালতে স্থানীয় ভাষাগুলির ব্যাবহারে উৎসাহ দিতে হবে। এই ব্যবস্থা শুধুই যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ নাগরিকদের আস্থা বাড়াবে তাই নয়, আদালতের প্রক্রিয়ার সঙ্গেও তাঁদের আরও বেশি সংযুক্ত হতে সাহায্য করবে। দেশে এমন একটি বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত, যেখানে সহজেই বিচার পাওয়া যায় ও দ্রুত বিচার পাওয়া যায়। সবার জন্যই যাতে সেই বিচার ন্যায্য হয়।”
এদিন নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ন্যায়বিচার ও দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে প্রয়োজনে পুরনো আইন বাতিলেরও আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে। এপ্রসঙ্গে মোদী বলেন, ”২০১৫ সালে আমরা প্রায় ১৮০০ আইন চিহ্নিত করেছিলাম, যা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যে কেন্দ্রের এই ধরনের ১,৪৫০টি আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু, রাজ্যগুলি মাত্র ৭৫টি এই ধরনের আইন বাতিল করেছে।”
অন্যদিকে, দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি এদিন বলেন, “দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে যাওয়া উচিত নয়।” এদিন জনস্বার্থ মামলার ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এপ্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন রমানা বলেন, ”জনস্বার্থ মামলাগুলি এখন ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার মামলায় পরিণত হয়েছে।”