ক্রীড়া

পোগবার দাদাকে মোহনবাগান দিবসে আনতে পারে ক্লাব

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

২৯ জুলাই মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে প্রাণের দিন। সেদিন মোহনবাগান দিবস। গত দুই বছর করোনার জন্য পালন হয়নি মোহনবাগান দিবস। তবে এবার জাঁকজমকভাবেই হবে মোহনবাগান দিবস আর এবার মোহনবাগান দিবসে ক্লাবে আসতে পারেন পল পোগবার দাদা ফ্লোরেন্তিন পোগবা। গঙ্গাপাড়ের ক্লাব সূত্রের খবর, মোহনবাগান দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দিয়ে নতুন তাঁবু উদ্বোধন করানো হবে। গত আইএসএল ডার্বির হ্যাটট্রিক করা নায়ক জামসেদ নাসিরির ছেলে কিয়ান নাসিরিকে যেমন তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার দেওয়া হবে। তেমনই সেই সময়ে ডুরান্ড কাপের অনুশীলন করতে কলকাতাতেই থাকবে দল। ফলে গোটা দলকে ক্লাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যার প্রধান আকর্ষণই থাকবে পোগবার দাদা। প্রসঙ্গত গত বার পুজোতে এটিকে মোহনবাগান দল ক্লাবে এসে সমর্থকদের আবেগ দেখে উচ্ছসিত হয়ে পড়েন।

ফ্লোরেন্তিন পোগবা, যিনি এখন ফ্রান্সের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সোশোতে খেলেন। ৩২ বছর বয়সি এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে দু’বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। সোশোতে সই করার আগে তিনি লিগ ওয়ানের ক্লাব স্যাঁ এতিয়েনে খেলতেন। সেখানে ছ’বছর ছিলেন তিনি। গত দুই মরশুমে সোশোর হয়ে ৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন এই পোগবা। ২০২৮-য় তুরস্কের ক্লাব লিগে খেলতে যান ফ্লোরেন্তিন। পরে আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারেও খেলেন আটলান্টা ইউনাইটেডের হয়ে। তাদের ইউএস ওপেন কাপ ও ক্যাম্পিওনেস কাপ জয়ী দলে ছিলেন তিনি। ফ্রান্সের সোশোতে এক বছরের চুক্তি বাকি ছিল তাঁর। সেখান থেকেই দু’বছরের চুক্তিতে কলকাতার ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন ফ্লোরেন্তিন পোগবা। দাদার ভারত অভিযানের খবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা পল পোগবা, যার জুভেন্তাসে ফেরা নাকি প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। পল ফ্রান্সের জাতীয় দলের হয়ে খেললেও তাঁর দাদা খেলেন গিনির জাতীয় দলের হয়ে। ২০১০ থেকে সে দেশের হয়ে ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন ফ্লোরেন্তিন। তাঁর জমজ ভাই ম্যাথিয়াসও গিনির হয়েই খেলেন ফরোয়ার্ড হিসেবে। ডুরান্ড কাপ এবং এএফসি কাপের সেমিফাইনালেও দলের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। ভারতের এক ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন জেনে রোমাঞ্চিত পোগবা বলেন, “এটিকে মোহনবাগানের মতো বিশাল সমর্থক-সমৃদ্ধ ক্লাবের হয়ে খেলব, এটা ভেবেই আমি রোমাঞ্চিত। এটা গর্বের ব্যাপার। এই ক্লাবের জার্সির ঐতিহ্যই আলাদা। সেই জার্সি পরে মাঠে নামার দিনটার অপেক্ষায় রয়েছি”।