এনএফবি, মালদাঃ
কংগ্রেসের ভুয়ো যোগদানের পর্দাফাঁস। পর্দাফাঁস করলো যোগদানকারী। এই যোগদান প্রসঙ্গেই স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তার বন্ধু প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ককে পাগল বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তৃণমূলের দাবি সেই কটাক্ষই সত্যি প্রমাণিত হলো। যদিও এই প্রসঙ্গে নীরব কংগ্রেস। অস্বস্তিতে পড়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চায়নি কেউ।
প্রসঙ্গত কিছু দিন আগে মালদহের ইসলামপুর এলাকায় কংগ্রেসের একটি যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক মোস্তাক আলমের নেতৃত্বে হয় এই যোগদান। কংগ্রেস দাবি করে বিজেপি থেকে ৩০০ জন এবং তৃণমূল থেকে ২০০ জন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার যোগদানকারীদের মধ্যে যোগেশ স্বর্ণকার ও মোস্তাক আলম সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছিলেন যে তারা তৃণমূল থেকে যোগদান করেছে। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই এই দাবি নাকচ করেন যোগদানকারী যোগেশ স্বর্ণকার। তিনি জানান তিনি ভুল বলেছিলেন। কোন দিন তিনি তৃণমূলে ছিলেন না। সেদিনের যোগদান কর্মসূচিতে যেই ২০-২৫ জন যোগ দিয়েছিল তারা সবাই বিজেপির। প্রচারে আসার জন্য কংগ্রেসের এটা পরিকল্পনা ছিল বলে তিনি জানান। এর পাশাপাশি তিনি চাপের মুখে ভুল বশত বলে দিয়ে ছিলেন বলে ক্ষমা চেয়ে নেন তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূলের দাবি মন্ত্রী তাজমুল হোসেন পাগল বলে ঠিকই বলেছিলেন। যেখানে তৃণমূল থেকে একজনও যোগ দেয়নি সেখানে কংগ্রেস দাবি করেছিল ২০০ জন যোগ দিয়েছে। তৃণমূলের আরো অভিযোগ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস। যদিও সমগ্র ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। মোস্তাক আলম বা অন্যান্য নেতৃত্ব কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।
মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, বিধায়ক তাজমুল হোসেন বন্ধু মোস্তাক আলমকে মজা করে পাগল কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু এখন সেটাই সত্যি প্রমাণিত হলো। একইসাথে কংগ্রেসের নাটক ধরা পড়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
প্রসঙ্গত সাগরদিঘী উপ-নির্বাচনে জয় লাভের পর মালদাতেও নিজেদের জমি ফিরে পেতে মরিয়া কংগ্রেস। সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি করতে চলছে একের পর এক যোগদান কর্মসূচি। কংগ্রেস বারবার দাবি করছিল তৃণমূলের এবার ঘর ভাঙছে। কিন্তু এবার যোগদানকারীর এই দাবিতে স্বাভাবিক ভাবে অস্বস্তিত কংগ্রেস নেতৃত্ব।