এনএফবি, কোচবিহারঃ
আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা পুরসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তৃণমূল এবং বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে নির্বাচন ঘোষণার দিন সন্ধ্যায় বামফ্রন্টের ১২টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট মাথাভাঙ্গা পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসও প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিজেপি এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। দুদিন নমিনেশন জমা দেওয়ার তারিখ ছিল। কোন রাজনৈতিক দল ওই দুই দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি। তবে আগামীকাল আবারো বাজিমাত করতে চলেছে বামফ্রন্টের সিপিআইএম প্রার্থীরা বলে জানা জাচ্ছে। আগামীকাল নিয়ম অনুসারে মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে বামফ্রন্টের প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করবেন বলে এমনটাই সিপিএম সূত্রের খবর।
আজকে ছুটির দিন, এই দিনটাকে এতটুকু সময় নষ্ট করতে রাজি নন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। আজ সকাল সকাল বাড়িতে চা না খেয়েই স্থানীয় ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে চায়ের চুমুক দিলেন মাথাভাঙ্গা শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের বামফ্রন্টের প্রার্থী মদন কর। সঙ্গে ছিলেন বামফ্রন্টের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর শেখর রঞ্জন ধর। প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন সিপিএমের তরুণ তুর্কি নেতা মদন চন্দ্র কর।
মদন চন্দ্র কর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা সরকারে না থাকলেও প্রতিনিয়ত সকাল-বিকাল ২৪ ঘন্টা আপদ বিপদে মানুষের পাশে থাকি। প্রতিনিয়ত জনসংযোগ আমাদের রয়েছে। আমি নিজে এই ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি নিয়ে বড় হয়েছি। ছাত্র রাজনীতি থেকে আজকে যুব আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আজকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী। প্রত্যেকটি মানুষ আমার চেনা রয়েছে প্রত্যেকের বাড়িতে যাচ্ছি সবাই আশীর্বাদ করছেন দেখা যাক ২৭ এ ফেব্রুয়ারি সুন্দরভাবে গণতান্ত্রিক ভাবে যদি মানুষ ভোট প্রয়োগ করে তাহলে ১০০% আমি জয়লাভ করবো এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
তবে তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি বলেন, “বেকারত্বের জ্বালা প্রত্যেকদিন বাড়ছে। কোন নিয়োগ নেই, কোন কলকারখানা নেই, কোনো সত্যতা নেই, দুর্নীতিতে ভরে গেছে বর্তমান সরকারের আমল। আমরা পুনরায় ক্ষমতায় এলে পুর নাগরিক পরিষেবা থেকে শুরু করে আরো যা যা সমস্যা আছে তা দূর করবার চেষ্টা করব।”
প্রাক্তন কাউন্সিলর বামফ্রন্টের বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শেখর রঞ্জন বলেন, “আমি পাঁচ বছর কাউন্সিলরের দায়িত্বে ছিলাম। অনেক কাজ করা হয়তো সম্ভব হয়নি। মদন ক্ষমতায় এলে সেই সমস্ত কাজ গুলো যাতে ত্বরান্বিত করা যায় তার জন্য অংশীদার হিসেবে আমি ওর সহযোগিতা করছি।”
১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অরুণ সাহা এবং বিমল চন্দ্র রায় বলেন, ভোট এসেছে সব প্রার্থীরাই আমাদের দরজায় আসবে নিশ্চয়ই কাউকে ফেরানো সম্ভব না সবাই কেই নিয়ে চলতে হবে সবার কথা শুনবো। তবে আজ সকাল সকাল বামফ্রন্টের প্রার্থী মদন কর উনি ভোট চাইতে এসেছিলেন উনার কথা শুনেছি দেখা যাক ২৭ শে ফেব্রুয়ারি আসুক তারপর ভোটবাক্সে কি হয়!