এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। স্নাতকোত্তর স্তরে নিট পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও কাউন্সেলিং দেরির প্রতিবাদে সরকারের কাছে জবাব দাবি করে আন্দোলনে সামিল আবাসিক চিকিৎসকেরা।
সোমবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা কেন্দ্র পরিচালিত সফরদরজঙ্গ হাসপাতালে জমায়েত করে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ বাধা দেয়। চিকিৎসক ও পুলিশের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। চিকিৎসকদের অভিযোগ দিল্লি পুলিশ তাদের হেনস্থা করেছে। মহিলা চিকিৎসকদের সাথে অভব্য আচারণ করে পুলিশ। যদিও পুলিশ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে। পুলিশের দাবি, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ আইটিও রোড স্তব্ধ করে দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতেই চিকিৎসকরা পুলিশকে আক্রমন করে।
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে প্রায় চার হাজার চিকিৎসক সোমবার মধ্যরাতেই সরোজিনী থানা ঘেরাও করে। মঙ্গলবার জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোন বিভাগেই কাজে যোগ দেননি চিকিৎসকেরা। মন্ত্রী আলোচনা না করলে এবংউপযুক্ত জবাব না পেলে বুধবার থেকে দেশব্যাপী চিকিৎসক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টসর অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন অফ অল ইণ্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন(FAIMA) নামে চিকিৎসকদের দু’টি সংগঠন এই ধর্মঘটের আহ্বান জানায়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই আজ সমস্যা সমাধানে নির্মান ভবনে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সাথে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মনসুখ বলেছেন,” সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকায় আমরা কাউন্সেলিং করতে পারিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জানুয়ারি। তার আগেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট-সহ জবাব শীর্ষ আদালতের কাছে পেশ করা হবে। দ্রুত যাতে কাউন্সেলিং শুরু হয় তার জন্য সরকারের তরফে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে। “
এদিকে চিকিৎসকদের আন্দোলনের ব্যহত পরিষেবা। দিল্লির সাত হাসপাতালে নাকাল হতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের, পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে এগোচ্ছে। সম্ভবত তা আঁচ করেই আলোচনায় বসলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।