নিষিদ্ধপল্লী থেকে ভালোবেসে ঘর বাঁধলেন যুবতী

এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল বাজারের খিরিশ তলার নিষিদ্ধ পল্লীর এক যৌনকর্মী বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলা গ্রামে, বয়স ২১ বছর। বাবা মায়ের মৃত্যুর পর বন্ধুদের চক্রে তার স্থান হয় অন্ধকার জগতের চার দেওয়ালের ভিতর। তবে এই জগত থেকে মুক্তির আশায় ঘর বেঁধে সংসার করে মা হতে চেয়েছিল সে । আর তার এই স্বপ্ন সত্যি করতে এগিয়ে আসে মহিষাদল থানার বাসুলিয়া গ্রামের এক যুবক ৷ মহিষাদল বাজারের বিভিন্ন জায়গায় হোম ডেলিভারি ম্যান হিসেবে সকাল -সন্ধ্যা অর্ডার অনুযায়ী খাবার পৌঁছে দেওয়াই ছিল ঐ যুবকের কাজ । সে ওই পল্লীতে সকাল-সন্ধ্যা খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েই ঐ যৌনকর্মীর সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয় ৷ পরস্পরকে সংসার করার প্রস্তাব দেয়।

আরও পড়ুনঃ অধিকারী হীন কাঁথি পুর নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা

মহিষাদলের সমাজ সেবী সংস্থা নিহারীকার সম্পাদক মানস কুমার বেরা এবং সভাপতি জীবন দে কে তাদের ভালোবাসার কথা বলে ঐ যুবক । আজ দুপুরে যুবক তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্লাব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়। সংস্থার সমস্ত সদস্য বৃন্দ, ব্রাহ্মণ এবং বিবাহ রেজিস্টার অফিসার কে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতী মায়ের সামনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় যুগল ৷ সংস্থার সদস্যরা সানাই বাজিয়ে, আতশ বাজি ফাটাতে ফাটাতে আনন্দ উচ্ছ্বাসে চারহাত এক করে দেয়। আতশবাজির আওয়াজে পথচলতি মানুষদের ভিড় জমে যায় ক্লাব প্রাঙ্গণে।

মহিষাদল পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের নিকট বসবাসকারী এক প্রবীণ ব্যক্তি পঙ্কজ চ্যাটার্জী জানিয়েছেন এই সংস্থাটি আজকে একটি মহৎ কাজ করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। সংস্থার অন্যতম সদস্য শম্ভুনাথ দাস মা-বাবা হারা যৌনকর্মীকে নিজের বোন হিসেবে নতুন শাড়ি দিয়ে সম্প্রদান করলেন বিবাহ অনুষ্ঠানে। এই উদ্যোগকে স্থানীয় সকলেই স্বাগত জানিয়েছে বলে জানা গেছে ৷

আরও পড়ুনঃ গঙ্গারামপুরে উরস উৎসব উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল