এনএফবি, জলপাইগুড়িঃ
ড্রাগসের নেশায় আছন্ন হয়ে পড়েছে এক শ্রেণী, আর তার ফলেই বেড়ে চলেছে চুরি। চাপ বাড়ছে জনপ্রতিনিধিদের উপর, এবার এস পির দ্বারস্থ খোদ তৃণমূল কংগ্রেস দলের যুব সভাপতি তথা ভাইস চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলররা।
বর্তমানে জলপাইগুড়ি শহরে দিনে রাতে চুরি ছিনতাই যেন একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক মাসে পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের এমন কোনো ওয়ার্ড বাকি নেই যেখানে চুরি ছিনতাই হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে নাগরিকদের চাপ বাড়ছে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের ওপরে। মঙ্গলবার এই বিষয় গুলি নিয়ে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেবার আবেদন জানাতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পৌর কাউন্সিলরদের একটি দল। তারা জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। এই প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অপরদিকে ড্রাগসের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ভিন রাজ্য এবং জেলার থেকে কিছু ড্রাগ পেডলার শহরে এসে স্থানীয় যুবকদের এই নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য চুরি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ এর মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি শহরে চুরি অব্যাহত, মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার বারো নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তী পাড়ার বসিন্ধা ডলি রায়ের বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করা ওনার স্বামীর একটি লোহার পাটাতন চুরি হয়ে যায় বলে জানান তিনি। যদিও বুধবার খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির সামনে অবস্থিত জলপাইগুড়ি হাই স্কুলের একটি নর্দমার থেকে চুরি যাওয়া সেই লোহার পাটাতন উদ্ধার করেন ঐ ব্যক্তি। চুরির ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে সেই নেশার রমরমা কারবার কেই দায়ী করেন এই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ ডলি রায়।
এদিকে অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মতোই একই অবস্থা বারো নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিল মনিন্দ্র নাথ বর্মনের। ঘটনার খবর পেয়েই তিনি ছুটে যান ঘটনাস্থলে। লাগাতার চুরি ছিনতাইয়ের বিষয়ে সৈকত বাবুর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে কাউন্সিলর মনিন্দ্র বাবু জানান, নিষিদ্ধ নেশার কারবার বন্ধ না হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা যাবে না।